আবু হাসাদ, পুঠিয়া (রাজশাহী)

  ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

প্রতারিত ক্রেতারা

চিনি হচ্ছে খেজুর!

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

চলতি মৌসুমে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বৃহত্তম হাট ঝলমলিয়া ও বানেশ্বর দুই হাটে ঘুরে গুড়ের আমদানি অনেক সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার ঝলমলিয়া হাট এবং শনিবার ও মঙ্গলবার বানেশ্বর হাট। এই দুই হাটে লাখ লাখ টাকার গুণ ক্রয়- বিক্রয় হয় হাট বারে।

দুই হাট সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে প্রচুর পরিমাণে গুড়ের আমদানি শুরু হয় হাট গুলোতে গুড়ের রং এবং গুণগত মানের উপরে দাম নির্ধারণ করেন গুড়ের দাম নির্ধারণ করা হয় ১৩০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় প্রতি কেজি গুড় কেনাবেচা হচ্ছে হাট গুলোতে। সেই সাথে খাঁটি গুড় ও ভেজাল গুড় নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার তর্ক বিতর্ক লেগেই থাকে প্রতিহাটে।

মৌসুমী খেজুর গুড় ব্যবসায়ী কাজল হোসেন বলেন , হাটে যে পরিমাণ গুড় আসে তার বেশিরভাগই থাকে চিনি অথবা ভারতীয় নিম্ন মানের ইক্ষুর গুড়ের তৈরি খেজুর গুড়। এই গুড় গুলো মূলত উৎপাদন হয় অল্প খেজুর রস চিনি মিশ্রিত পানি এবং নিম্নমানের ইক্ষুর গুড় থেকেই তৈরি হয় সুন্দর রঙ্গে খেজুর গুড়। আর এ গুড়ের রঙ অনেক ভালো হওয়ার কারণে ক্রেতাদের খুব দ্রুত আকৃষ্ট করতে পারে। তাই বর্তমানে গুড় কেনার সময় অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

খেজুর গুড় উৎপাদনকারী ও বিক্রেতা আশরাফুল হোসেন বলেন, এটা সত্য যে খেজুরের সঙ্গে আমরা চিনি মিশ্রণ করে থাকি তবে আমরা ইক্ষুর গুরের সঙ্গে কোন প্রকার মিশ্রণ করি না। অন্য কেউ করলে করতে পারে। খাঁটি গুড় হাটে বিক্রয়ের জন্য আনা হলে দেখা যায় দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। রং ভালো না হওয়ায় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পারেনা ফলে খাঁটি গুড় হয়ে যায় ভেজাল আর ভেজাল গুড় হয়ে যায় খাঁটি।

এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,কে,এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, অল্প দিনে ভেজাল বিরোধী অভিযানে বাজারগুলোতে অভিযান চালানো হবে। যারা খেজুর গুড় প্রতিনিয়তই ক্রয় বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত তারা ভাল খারাপ দুটোই জানে তাই আমি তাদেরকে আপনাদের মাধ্যমে বলবো তারা যেন ভেজাল গুড় কেনা থেকে বিরত থাকে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পুঠিয়া,ভেজাল গুড়
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close