আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আমতলী-তালতলী সংসদীয় আসন পূর্নবহালের দাবীতে আবেদন
![](/assets/news_photos/2024/12/07/image-488789.jpg)
বরগুনা জেলাধীন আমতলী-তালতলী উপজেলা নিয়া পূর্বের ১১২ বরগুনা-৩ সংসদীয় আসন পূর্নবহালের দাবী জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ লিখিত আবেদন করেছেন ১১২ বরগুনা (৩) আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি আলহাজ অ্যাডঃ আব্দুল মজিদ মল্লিক। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর দেয়া লিখিত আবেদনে জানা যায়, ২৯ এপ্রিল ২০০৮ খ্রীঃ তত্বাবধায়ক সরকার প্রশাসনিক ভৌগিলিক কাঠামো, আয়তন, বাস্তবিক ও জনসংখ্যা বিবেচনা না করে শুধুমাত্র জনসংখ্যার ভিত্তিতে এ আসনটি (আমতলী-তালতলী) বিলুপ্তি করে বরগুনা জেলা সদরের সাথে সংযুক্ত করে দেয়। জনসংখ্যার ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসন বিন্যাস করায় উন্নয়ন বঞ্চিত হয় আমতলী-তালতলী উপজেলার সাধারণ মানুষ।
বরগুনা জেলা সদর ও আমতলী উপজেলা সদরের মধ্যখানে ৪ কিলোমিটার প্রস্থ প্রমত্তা বুড়িশ্বর (পায়রা) নদী। বর্ষাকালে এ নদী অগ্নিরূপ ধারণ করে। এতে জন সাধারণের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয়। অভিভাবকহীন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও উন্নয়ন বঞ্চিত এ জনপদের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
বঙ্গোপসাগর ও পায়রা নদী বেষ্টিত আমতলীও তালতলী উপজেলায় তেমন উন্নয়নের ছোয়া পৌছেনি। প্রাচীন, ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক, জনসংখ্যা ও ভোটার সংখ্যার বিবেচনায় বিলুপ্তি হওয়া সাবেক ১১২ বরগুনা-৩ আসনটি পুনর্বহাল এ জনপদের মানুষের প্রাণের দাবি। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সিডর ও আইলাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা এ সংসদীয় আসনটি (আমতলী-তালতলী) পুনর্বহালের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সুশীল, সমাজ, শিক্ষক, কৃষক, জেলে, রাখাইনসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ। তারা এআসনটি পুনর্বহালের জোর দাবি জানান।
তিনি লিখিত আবেদনে আরো উল্লেখ করেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে প্রমত্তা পায়রা নদী ও প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা এ সংসদীয় আসনটি (আমতলী-তালতলী) পুনর্বহালের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সুশীল, সমাজ, শিক্ষক, কৃষক, জেলে, রাখাইনসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ, জনগণের সুবিধার্থে এ আসনটি পুনর্বহাল করা একান্ত প্রয়োজন ।
গত সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলাম এবং আমতলী-তালতলীর সাধারণ মানুষ তালতলী থেকে শুরু করে আমতলীর শাখারিয়া পর্যন্ত ও ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছিল। তারপর এ বিষয় নির্বাচন কমিশনে এক ঘণ্টা শুনানি হয়েছিল তখন নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছিল আসনটি পুনর্বহাল করবে। কিন্তু কি কারনে তারা করেনি তা আজও আমরা জানতে পারিনি। আমরা বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সংস্কার কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আমতলী তালতলী সংসদীয় আসন পুনর্বহাল চাই।