কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
কালকিনিতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত-৩
মাদারীপুরের কালকিনিতে দক্ষিন ঠেংগামারা গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। বিষ্ফোরনের খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন।
গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে রান্না ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরনে ৩ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের বরিশালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যায়।
আরো জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ ঠেঙ্গামারা গ্রামের শহিদুল হাওলাদারের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কালকিনি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২টি হাত বোমা উদ্ধার করে। তবে শুক্রবার সকালে একই বাড়িতে রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরনে বিকট শব্দের কারনে এলাকার সাধারন মানুষ প্রথমে ভেবেছিলেন বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে এলাকার সাধারন মানুষ ঘটনা স্থানে গিয়ে জানতে পারে রহিম হাওলাদারের রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে ৩ জন আহত হয়েছে। রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরনে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে থানা পুলিশ।
আহতের স্বজনের দাবি সিলিন্ডার বিষ্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে বোমা বিষ্ফোরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।
নামপ্রকাশে অনিচ্চুক স্থানীয় একব্যক্তি বলেন, অলিল কমিশনার ও খলিল মেম্বার এই দুই গ্রুপ প্রতিদিন বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় আতংক ছড়ায় । তাই গ্রামের সাধারন জনগন প্রথমে মনে করেছিলো বোমা বিস্ফোরনে আহত হয়েছে কিন্তু ঘটনাস্থানে গিয়ে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত হয় ।
এ বিষয়ে স্থানীয় খলিল হাওলাদার বলেন, দীর্ঘ্যদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। শুক্রবার সকালে নতুন করে বোমা বানাতে গিয়ে বোমা বিষ্ফোরনে ৪ জন আহত হয়। তাদের বরিশাল মেডিকেলে নেয়া হয়েছে।
অলিল কমিশনারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার বার চেস্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আহতের স্বজনেরা জানায়, সকালে বোমা নয় সিলিন্ডার বিষ্ফোরন হয়েছে। প্রতিপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে।
কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান,১২ টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। বিষ্ফোরনের ঘটনার তদন্ত শেষে বলা যাবে সিলিন্ডার নাকি বোমা বিষ্ফোরন হয়েছে।