মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার মুরাদনগর
ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন চেষ্টার অভিযোগে বিক্ষোভ, অনশন
কুমিল্লার মুরাদনগরের প্রশাসনের বিরুদ্ধে পতিত সরকারের সহযোগীদের পুর্ণবাসনের অভিযোগে এবং বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও অনশন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
মুরাদনগর উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বলছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগীদের সঙ্গে মিটিংয়ের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ডিআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের শহীদ স্মৃতিস্বম্ভে অনশন করেন শিক্ষার্থীরা।
মুরাদনগরে আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগী দোসরদের আবারও পূনর্বাসনের চেষ্টা চলছে জানিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা এই অপচেষ্টা করছে তাদের এই স্বপ্ন কখনো সফল হবে না। মুরাদনগরের সূর্য সন্তান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এলাকায় আসবেন সেই উপলক্ষে আওয়ামী দোসরদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। এটা কিসের ইঙ্গিত?’ প্রশ্ন করেন তারা।
তারা আরো বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আমরা মুরাদনগরে রাজপথে থেকে আন্দোলন করেছি। অথচ এই বিষয়ে আমাদেরকে অফিসিয়ালি জানায়নি। আমাদের সাথে এই বৈষম্য কখনো মেনে নেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে কোনো সভা সমাবেশ মুরাদনগরে হবে না হতে দিবো না।’
‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যারা অস্ত্র হাতে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে, সেই হামলাকারী ও হামলার নায়কদের সাথে উপজেলা প্রশাসন লিয়াজো করার চেষ্টা করছে। এটা হতে দেওয়া যায় না। উপজেলা প্রশাসন যদি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের দোসরদের পূনর্বাসন চেস্টা বন্ধ না করে, তাহলে মুরাদনগরের ছাত্রজনতা প্রতিবিপ্লবের ঘোষণা দিবে।’
তারা বলেন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদস্য নিয়ে মিটিং করলো, প্রতিবাদ করায় সেই ছাত্রলীগের সদস্যরা ছাত্রদের উপর হামলা করে রক্তাক্ত করলো! ঘটনায় মামলা করার পর জেলার সমন্বয়ক ছাত্রদের ফোন করে বলে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। এই বৈষম্যের অবসান না হলে আমরা মুরাদনগর থেকে ছাত্র প্রতিবিপ্লবের ডাক দিব।’এসময় বক্তব্য রাখেন নাহিদুল নাঈম, সিয়াম খান, আশিকুর রহমান। অন্যান্যের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, আবদুর রহমান উজ্জ্বল, সাব্বির হোসেন, মেহেদি হাসান আবেদ, শাহপরান, মেহেদি হাসান, সাইফুল ইসলাম শান্ত, ফয়সাল ইকবাল, শরীফুল ইসলাম, ফাহিম হোসেন, এনামুল হক, দীপু, এনামুল হক, তাহসিন, ইমন, দোলন, আরিফ, অলি, শান্ত, জয়, প্রান্ত, রাফি, আরফিন, আরিফ, আক্তার, ইসমাইল, আকাশসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫শতাধিক শিক্ষার্থী।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, ‘কারো সাথে লিয়াজো করার বিষয়টি সঠিক নয়। সরকার যেহেতু ইউপি চেয়ারম্যানদের বহাল রেখেছে সে ক্ষেত্রে দাপ্তরিক কাজে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। এখানে লিয়াজোর কোনো বিষয় নেই। আর ছাত্র প্রতিনিধিদের নামের তালিকা কারো কাছে চাওয়া হয়নি, এই তালিকা ছাত্ররাই দিবে। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনি বলেন অফিসিয়ালি আমি এখনো কোন চিঠি পাইনি।’