সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে বিগত দিন উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ও বর্ষার পানির করাল ঢেউয়ে একাধিক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বাঁধের ভাঙ্গনের ফলে গভীর কূপে পরিনিত হয়েছে। এরিমধ্যে উপজেলার উত্তর বংশীকুন্ডা, দক্ষিণ বংশীকুন্ডা, চামরদানী ও মধ্যনগর সদর ইউনিয়ন সহ চারটি ইউনিয়নের পথচারীদগণ চলাচল করতে গিয়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই ভাঙ্গা সড়ক দিয়ে দুই ও তিন চাকার যানবাহন করা বন্ধ হয়েছে।

মধ্যনগর সদরের কলমাকান্দা সংযোগ সড়ক জোড়খালী, বৈঠাখালী ও নতুন পাড়ার ৩টি পয়েন্ট, ষোলডোয়ারী, গচতলা বিষড়পাশা সংযোগ পাউবোর বাঁধ, গুবরিয়া খাল, চামরদানীর মধ্যনগর জয়শ্রী ডুবন্ত পাকা সড়ক, ঘুরনীখাল, বানছাফড়া, জগন্নাথপুর, কাদিপুর খাল, দক্ষিণ বংশীকুন্ডার মধ্যনগর ও মহিষখলা সংযোগ সড়কের অসংখ্য ছোট বড় সেতুর এপ্রোজ, আটাইশা মাছিমপুর ও রাঙ্গামাটি মধ্যস্থ ডুবন্ত সড়কে বিশাল ভাঙ্গনে মরন কূপে পরিনিত ও উত্তর বংশীকুন্ডার মধ্যনগর মহিষখলা সড়ক, গুলগাও সড়ক ও গড়াকাটা সড়কে এমন অসংখ্য ছোট, বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

• মধ্যনগরে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় জনদুর্ভোগের আকাল নেই।
• ভাঙ্গাগুলো দ্রুত ভরাট না হলে হাওরাঞ্চলের একমাত্র যানবাহন মোটরসাইকেল বা জনযাতায়াতে চলাচলের চরম ভোগান্তি নয় শুধু অধিক তছরুপ স্বীকার হতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দা, কৃষক, শ্রমিকসহ সাধারণ পথচারীরা।

প্রতিবেদন অনুসন্ধানে জানা যায়, পাহাড়ি ঢল ও বর্ষার করাল স্রোত বা পানির তোড়ে ভেঙ্গে গিয়ে এসব গভীর গর্ত ও খানাখন্দে পরিণিত হয়। এসব অসংখ্য ভাঙ্গায় যাতায়াত টিকিয়ে রাখতে ফেরী পারাপার বসতে দেখা গেছে। ভাঙ্গাগুলো দ্রুত ভরাট না হলে হাওরাঞ্চলের একমাত্র যানবাহন মোটরসাইকেল বা জনযাতায়াতে চলাচলের চরম ভুগান্তি নয় শুধু অধিক তছরুপ স্বীকার হতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দা, কৃষক, শ্রমিক সহ সাধারণ পথচারীরা।

তাই সময়ের দাবী হয়ে দাড়িয়েছে খুব শিগ্রই পাউবো ও স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের তদারকিতে মাটি ভরাট ও মেরামত কার্যক্রম শুরু না হলে দুর্ভোগের নিরসন হবে না এমনটাই বলছেন স্থানীয় পথচারী ভুক্তভোগীরা। এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ওইসব ডুবন্ত সড়ক ও বাঁধের সংষ্কারের জন্য মাঠ পর্যায়ে জরিপ কাজ চলমান রয়েছে।

পিডিএস/ এল