রিপোর্টটি পাঠিয়েছেন আমাদের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও দিনাজপুরের কাহারোল প্রতিনিধি।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এবং দিনাজপুরের কাহারোলের কান্তাজিউ মন্দিরে আজ মহাসমারোহে শুরু হচ্ছে মহারাসলীলা। মহারাসলীলা মণিপুরী সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। মণিপুরীরা এবারে উদযাপন করবেন ১৮২ তম ধর্মীয় উৎসব।

অন্যদিকে, মহারাসলীলা ঘিরে শ্রী শ্রী কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে মাস ব্যাপী বসছে রাস মেলা। এজন্য মেলাকে ঘিরে ব্যাপক আয়োজন করেছেন মেলা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, এই উৎসবের নিরাপত্তার বিষয়কে প্রশাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। ব্যাপক লোকসমাগমের বিষয়টি মাথায় রেখে কমলগঞ্জে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।

গতকাল বুধবার বিকেলে ও আজ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি ও এর আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর ৩৬ সদস্যের একটি দল।

এতে নেতৃত্ব দেন, সেনাবাহিনীর শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন নিয়ামূলসহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা। ওই সময় মহারাসলীলা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সাথে কথা বলেন সেনা সদস্যরা। এছাড়া নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আকাশে ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।

সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মণিপুরী সম্প্রদায়ের মহারাসলীলা উৎসব উপভোগ করতে স্থানীয়রা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখো লোকের সমাগম ঘটে। উৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।

অপরদিকে, দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় সুন্দরপুর ইউনিয়নের ঢেপা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক শ্রী শ্রী কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী শুরু হচ্ছে রাস মেলা। মেলা কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসছেন রাসমেলায় অংশ নিতে। এমনকি ভারত থেকেও আসছেন ভক্তরা।

রাস মেলায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি সার্কাস ও যাদুসহ নানা আয়োজন করা হয়েছে। হরেক রকমের দোকান পাট মন্দির চত্বরে বসানো হয়েছে। পূর্ণিমা রাত্রী ১২ টা ১ মিনিটে রাঁধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ রাজ বেধিতে পূঁজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারও ভক্তবৃন্দের আগমন ঘটেছে। ওই রাস মেলায় বিশেষ নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ।

পিডিএস/ এল