নোয়াখালী প্রতিনিধি
বিএনপি নেতা তোতা হত্যা
দুমাসেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামি, জড়িতদের শাস্তির দাবি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন তোতার হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। পরে মানববন্ধন মিলিত হয় তারা।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি পালিত হয়। চর এলাহীর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই কর্মসূচিতে স্থানীয় বাসিন্দা, নিহতের পরিবারের সদস্য ও বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
- নিহতের পরিবারের সদস্যদের ধর্ষণসহ ৮টি মামলায় জড়ানোর অভিযোগ
- জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধন
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা মাস্টার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন মেম্বার, হত্যার শিকার আবদুল মতিনের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল তোতা ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সবুজ তোতা প্রমুখ।
এর আগে চলতি বছরের ২৭ আগস্ট রাত ৯টার দিকে চরএলাহী বাজারে একদল অস্ত্রধারী আবদুল মতিনকে কুপিয়ে আহত করে। এর চার দিন পর ৩০ আগস্ট বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মানববন্ধনের বক্তারা অভিযোগ করেন, তোতা চেয়ারম্যানকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলার ৭০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের প্রণোদনায় তোতার পরিবারের সদস্যদের ধর্ষণসহ ৮টি মামলায় জড়ানো হয়েছে। এখন তিনিসহ তার সহচররা প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ সময় রাজ্জাককে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ‘আবদুল মতিন হত্যাকাণ্ডের এক মাস পরে আমি এই থানায় যোগ দিই। আসামিরা কেউ এলাকায় নেই। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’