মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতি হাসপাতাল
চিকিৎসা বন্ধ রেখে মানববন্ধনে ডাক্তার-কর্মকর্তারা
মানিকগঞ্জ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়াবেটিক সমিতি হাসপাতালের পরিচালক এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বৈরাচারিতার অভিযোগ তুলে অব্যাহতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে পৌরসভার হিজুলী বাজার এলাকায় অবস্থিত ডায়াবেটিকস হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন হয়।
এদিকে ঘণ্টাধিক সময় হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে পড়ে রোগীরা। এতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর চিকিৎসা ছাড়াই অনেক রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। এই বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনকারী ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তরা হলেন ডায়াবেটিকস সমিতির হাসপাতালের পরিচালক হাসান মাহমুদ হাদী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজনীন আক্তার। তাদের বিরুদ্ধে ব্যববস্থা না নেওয়া হলে আজ বুধবার থেকে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। তবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের পরিচালক।
- পরিচালক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
- দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি পরিচালকের
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল কর্মকর্তা সানজিদা আক্তার ও ইন্দ্র মোহন সূত্রধর, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হানিফ আলী, কামাল হোসেন ও নাহিদ খান, প্রধান সহকারী ওবায়দুল ইসলাম, হিসাব রক্ষক সোহেল রানাসহ হাসপাতালের ডাক্তার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ডা. সানজিদা আক্তার বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ পরিচালক হাসান মাহমুদ হাদী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজনীন আক্তার দুজনে মিলে ডায়াবেটিকস হাসপাতালকে অন্যায়ের কারখানায় পরিণত করেছেন। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তারা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর, আমরা তাদের চাকরি হতে অব্যাহতি চাই।’
হিসাব রক্ষক সোহেল রানা বলেন, ‘হাসপাতালের পরিচালক হাসান মাহমুদ হাদী আমাদের সঙ্গে অসদাচরণ করতেন, অকথ্যভাষায় গালাগাল করতেন। এছাড়া তিনি যখন তখন টাকার চাইতেন, টাকা না দিলে চাকরি খাওয়ার ভয় দেখাতেন।’
অভিযোগ বিষযে জানতে চাইলে ডায়াবেটিকস সমিতির হাসপাতালের পরিচালক হাসান মাহমুদ হাদী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে কিছু অসাধু ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন। তবে আমি কোনো অনৈতিক বা অনিয়মের কাজে সঙ্গে জড়িত নই। যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’