রংপুর ব্যুরো

  ০৫ নভেম্বর, ২০২৪

রংপুরে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৬ নং ওয়ার্ড বুড়িরহাট এর সদ্য সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করলেন সাবেক কাউন্সিলর আবু হাসান চঞ্চল।

আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বুড়িরহাটের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, তার ক্রয় করা জমি সরকারি বলে দাবি করে দখল করে আছেন কয়েকজন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন অভিযুক্তরা কম দামে জমি ক্রয় করতে না পাড়ায় তার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একটি কুচক্রী মহল তাদেরকে ইন্ধন দিয়ে তার নামে মিথ্যা বানোয়াট এবং অসত্য তথ্য প্রচার করছেন।

সংবাদ সম্মেলনের তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে। সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি যে জায়গাটি কিনেছি সেটির সি এস (৪০) মালিক ছিলেন আজিজুর রহমান গং। এস এ (৬০) আনারুল ইসলাম গং। বাকি ওয়ারিশরা ৬৩ সালে ৯০৯৫ কবলা মূলে আনারুল ইসলামের নামে লিখে দেয়। আর এস ( ৯০) আনোরুনুল ইসলামের একক নামে রেকর্ড হয়। আনোয়ারুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করিলে তাহার এক স্ত্রী ছয় পুত্র ওয়ারিশান সূত্রে মালিক হন। অতঃপর আনোয়ারুল ইসলামের ওয়ারিশ গং সাব কবলা মূলে গত ৩/৯/২০২৩ ইং তারিখে আমার কাছে হস্তান্তর করেন। আমি মালিকানা পর নিজ নামে খারিজ করি যার খারিজ নং খতিয়ান নং -২৭০৪ হোল্ডিং নং-২২০৬ হালসন নাগাত খাজনা পরিশোধ করা হয়েছে। জমির পরিমাণ ২১ শতক। উক্ত জায়গাটি হাট সম্প্রসারণের জন্য ১৯৯৫ সালে ইউনিয়ন পরিষদ লিজ নেয়। তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. ইকরামুল হক ও আনারুল ইসলাম চুক্তি নামা পাওয়া যায়। আনারুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করার সময় তাহার সন্তানেরা এই জমি সম্পর্কে কিছু জানতো না। এবং ২০১২ সালে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি কর্পোরেশনে এই অঞ্চলটি অন্তর্ভুক্ত হয়। সিটি কর্পোরেশনও বিষয়টি জানতো না। আড়াই তিন বছর আগে এই জমির কাগজ খুঁজে পেয়ে সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করে সেট অপসারণের জন্য।ও উক্ত জমিতে অবস্থানরত অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাদেরকে বলেছে জমি ছেড়ে দেন না হয় কিনে নেন। অনেকেই জমির দাম বলেছিল কিন্তু তাদের সেই দাম পছন্দ না হওয়ায় আমার সঙ্গে দরদাম হলে তারা আমার কাছে বিক্রি করে।

সাবেক মেয়র মহোদয় উক্ত জমির কাগজপত্র নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের আইন বিশেষজ্ঞর মতামত নেওয়ার জন্য প্রেরণ করেন। সিটি কর্পোরেশন আইন বিশেষজ্ঞ যে মতামত দিয়েছেন । সেটি সম্পূর্ণ আমার পক্ষে আছে। তখন সাবেক মেয়র মহোদয় সরজমিনের তদন্ত ও সার্ভে করার জন্য সম্পত্তি শাখা কে দায়িত্ব দেন। সম্পত্তি শাখা সার্ভে করেন এবং তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সেটিও আমার পক্ষে আসে। সাতজন অবৈধভাবে আছে তাদেরকে অবৈধ ঘোষণা করে। তার মধ্যে একজন আমার কাগজপত্র দেখে সেচ্ছায় ছেড়ে দেন। সেই জায়গায় চঞ্চল এন্টারপ্রাইজ নামে আমার একটি দোকান পরিচালিত হচ্ছে। সেখানেও আমার লোককে যেতে দিচ্ছে না গেলে মেরে ফেলবে পুঁতে ফেলবে এরকম হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আপনাদের মাধ্যমে সত্যটি উদঘাটন হোক সেটি আমি চাই। তারা কম দামে জমি না পাওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে এবং আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একটি কুচক্র মহল তাদেরকে ইন্ধন দিয়ে আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট এবং অসত্য সংবাদ পরিবেশন করছে। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অবৈধ দখলদারকে লেলিয়ে দিয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এবং যাতে আমি আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে না পারি সেজন্য আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি সঠিক তদন্ত করে আমার ক্রয় কৃত জায়গাটি আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হোক। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।

তিনি আরও বলেন,এ বিষয়ে তিনি আইনি আশ্রয় নিয়েছেন, পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের নিকট দাবি জানান সঠিক তদন্ত করে ক্রয়কৃত জায়গাটি তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হোক। এ সময় সেখানে উত্তরাধিকারী সূত্রে জমির মূল মালিক আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রংপুর,মিথ্যা তথ্য,সংবাদ সম্মেলন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close