খুলনা ব্যুরো

  ০৪ নভেম্বর, ২০২৪

খুলনায় পুলিশের এডিসি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

খুলনা পুলিশের এডিসি (সদর থানার সাবেক ওসি) এস এম কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) দুদক খুলনার সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় সম্পদ বিবরণীতে ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার তথ্য গোপন এবং ১ কোটি ২ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে দুই ছাত্রদল নেতাকে আটক করে খুলনা সদর থানার দ্বিতীয় তলায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে সাবেক ওসি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

দুদকের এজাহারে বলা হয়েছে, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (তৎকালীন সহকারী কমিশনার, দৌলতপুর অঞ্চল, কেএমপি, খুলনা) এস এম কামরুজ্জামান দুর্নীতি দমন কমিশনে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যদান এবং ১ কোটি ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৮২ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এটি দুদক আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। দুদকে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট ২ কোটি ৯০ লাখ ২১ হাজার ৮৪৬ টাকার সম্পদ প্রদর্শন করেন এস এম কামরুজ্জামান। কিন্তু অনুসন্ধানে তার নামে মোট ৩ কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার ৮৪৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়।

এ সময়ে তার ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন ও রূপালী ব্যাংকে ৪৫ লাখ টাকার দায় ছিল। এই দায় বাদে তার সম্পদের মূল্য ২ কোটি ৬৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৪৬ টাকা। একই সময়ে মোট আয়ের পরিমাণ ২ কোটি ২৪ লাখ ৮১ হাজার ৭১৮ টাকা। পারিবারিক ব্যয় ও ঋণ পরিশোধ বাবদ ৬২ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৪ টাকা ব্যয় করেন। ফলে তার নিট সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৪ টাকা। ফলে এস এম কামরুজ্জামানের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সংগতির অতিরিক্ত ১ কোটি ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৮২ টাকা পুলিশ বিভাগে চাকরি করার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
খুলনা,পুলিশের এডিসি,দুদক
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close