সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাগঞ্জে পলিথিনের বিকল্প না থাকায় বিপাকে ক্রেতা-বিক্রেতা
নিষিদ্ধ করা হলেও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন হাটে বাজোরে কাঁচাবাজারে অবাধে পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে। পলিথিনের বিকল্প না থাকায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতাসহ দোকানিরা। তবে, জেলা প্রশাসন প্রাথমিকভাবে মানুষকে পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞার পরেও জেলার বিভিন্ন হাট বাজারসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজারে অবাধে পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায় , সবজি বিভিন্ন বিক্রেতারা ক্রেতাদেরকে পণ্য দেওয়ার জন্য পলিথিন ব্যবহার করছে। মুদি দোকানগুলোতে পণ্য রাখা হয়েছে পলিথিনে।ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দাবি, পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য বাধ্য হয়েই পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকল্প যদি বের করা হয় তাহলে পলিথিন ব্যবহার কমানো যাবে। এর আগে কোনোভাবেই পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব নয় ।
ভ্রাম্যমান সবজি বিক্রেতা আবু সাইদ বলেন, পলিথিন বন্ধ ঘোষণা দেওয়ার আগে পলিথিনের বিকল্প বের করা করা দরকার ছিল। তা না করে পলিথিন বন্ধের ঘোষণা দিল সরকার। এখন ক্রেতা বিক্রেতাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সরকারিভাবে নিষেধ থাকলেও বাধ্য হয়েই পলিথিনে ক্রেতাদের পণ্য দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাজার ষ্টেশন বাজার, কালিবাড়ি বাজার, বড় বাজার, করতে আসা সুফিয়া বেগম, নারায়ন চন্দ্র, শহিদুল ইসলাম সহ কয়েক জন ক্রেতা বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানতে আমরা বাধ্য। তবে বিকল্প ব্যবস্থা নাথাকায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি ।