বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া শহরে নাগরিক ঐক্যের গণসমাবেশে
সংস্কার ও নির্বাচন দুটো একসঙ্গে চান মান্না
সংস্কার ও নির্বাচন দুটো একসঙ্গে চেয়েছেন নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, ‘এই দেশে যতবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে, সেই ভোটে কোনো চুরি হয়নি। সবাই বলছে দেশ বদলানোর জন্য সংস্কার করতে হবে, অনেকে বলে আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন; আর আমি বলি-সংস্কার ও নির্বাচন দুটোই এক সঙ্গে। আমরা কেবল সরকার বদলের লড়াই করছি না, আমরা দেশ বদলের লড়াই করছি, মানুষের ভাগ্য বদলানোর লড়াই করছি।’
মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন, ‘যারা দলে আছেন, তারা যেন নিজেরা ভালো হয়ে যান, দলের নেতারা যাতে নিজেরা নিজেদের পরিবর্তন করেন। নেতারা যাতে মনে না করেন-আমরা ক্ষমতা দখল করে অর্থ কামাই করব, ওইসব দল দিয়ে দেশের কোনো কল্যাণ হবে না। এখন থেকে সেই সব দল নিজেরা বদলে যাবে, না হলে জনগণ তাদের বদলে দিবে।’
- ১১ সদস্য বিশিষ্ট বগুড়া শহর কমিটি ঘোষণা
বগুড়া শহরের সাতমাথা মুক্ত মঞ্চে আজ শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে নাগরিক ঐক্য জেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। সমাবেশ শেষে ১১ সদস্য বিশিষ্ট বগুড়া শহর কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি মাহমুদুর রহমান মান্না। এতে আহ্বায়ক হয়েছেন মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক ও সদস্যসচিব আবুল কালাম আজাদ।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নির্বিচারে মানুষকে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন। ৩ আগস্ট তিনি সেনাপ্রধানকে এই নির্দেশ দেন, বিমান বাহিনী প্রধানকে বলেছিলেন-যত হেলিকপ্টার লাগে নামাও, ভয় দেখাও। কিন্তু তারা বলেছিলেন- সম্ভব নয় ম্যাডাম। কারণ একজন মারা গেলে শত শত ছাত্র-জনতা এগিয়ে আসে। ক্ষমতার এতই লিপ্সা যে শেখ হাসিনা মানুষকে গুলি করে মারতে একবারও চিন্তা করেননি।’
মান্না আরো বলেন, ‘এই যে লড়াই এইরকম জীবন দান, রক্তদান, এটা জীবন দিয়ে জীবন পাবার লড়াই ছিল, জীবন দিয়ে জীবন বদলাবার লড়াই ছিল, দেশ বদলাবার লড়াই ছিল, সেই লড়াইকে আমরা পরাজিত হতে দিতে পারি না। সেই লড়াইয়ে জিততে হবে। এজন্য আমাদের সেই ধরনের দল, সেই ধরনের নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।’
নাগরিক ঐক্য বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, সদস্য আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার সজীব। আরো বক্তব্য দেন দলের বগুড়া জেলার নেতা পিয়াল রহমান, সাইদুর রহমান, সাগর আহম্মেদ, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক, আবুল কালাম আজাদ, মামুনুর রশিদ, সাদ্দাম, পপি, শামীম, রফিকুল ইসলাম।