গাজী মোঃ শাহাদত হোসেন ফিরোজী, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে কালীপূজা উপলক্ষে পাঠার মাংস বিক্রির ধুম
সিরাজগঞ্জে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা উপলক্ষে বড়বাজার, কালিবাড়ি বাজার,মুক্তিযোদ্ধা গলিতে পাঠার মাংস বিক্রির ধূম পড়েছে। আর ওই পাঠার মাংস গুলো কেজি দরে কিনছেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। পাশাপাশি সখের বসে মুসলমানদেরও ওই মাংস কিনতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে প্রথাগত রীতি অনুযায়ী পাঠাবলীর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় এ পূজা।
সিরাজগঞ্জে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা উপলক্ষে বড়বাজার, কালিবাড়ি বাজার, মুক্তিযোদ্ধা গলিতে পাঠার মাংস বিক্রির ধুমধাম শুরু হয়েছে। আর ওই পাঠার মাংসগুলো কেজি দরে ক্রয় করছেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। পাশাপাশি শখের বশে মুসলমানদেরও তাদের মাঝে এই মাংস কেনার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারের গভীর রাতে সাড়ে ১২টার দিকে প্রথাগতভাবে পাঠাবলীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পূজার কার্যক্রম শুরু হয়।
কালী পূজার আওতায় সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাজার ছাড়াও উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, বেলকুচি, কামারখন্দসহ অন্যান্য উপজেলায় বিভিন্ন দোকানে এই পাঠার মাংসের বেচাকেনা চলছে। কিছু দোকানদার সারাবছর মাংস বিক্রির আয়োজন করেন না, তবে এই সময়ে অধিক মুনাফার আশায় এক দিনের জন্য মাংসের দোকান খুলে বসেন। এমনটাই জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জের মাংস বিক্রেতা আলামিন হোসেন। তিনি আরও জানান, এসব দোকানে প্রচুর পরিমাণে পাঠার মাংস বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত ছাগলের পাঠার পাশাপাশি ভেড়ার পাঠার মাংসও পাওয়া যাচ্ছে।
পাঠার মাংস কিনতে আসা পৌরসভার বাসিন্দা অ্যাড. রঞ্জন কুমার ও রতন কুমার বলেন, প্রতি বছর কালীপূজা উপলক্ষে এভাবে বাজারে পাঠার মাংস বিক্রি হয়ে থাকে। এবারও একই দৃশ্য আমরা দেখছি বাজারে। এবছর মাংসের দাম কিছুটা বেশি। প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। কালিবাড়ি বাজারের মাংস বিক্রেতা শ্যামল দত্ত বলেন, এ বছর বাজারে পাঠার দাম অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় মাংসের দাম কিছুটা উঁচু। তবুও চাহিদা আছে। প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০ টাকার মধ্যে।
বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অশোক ব্যানার্জী জানান, প্রায় সাড়ে ৫'শ বছরের ঐতিহ্যবাহী কালী পূজা বিগত সময় ধরে চলে আসছে। এই পূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বর্ণবৈষম্যহীন এলাকা বাসীর ধর্মীয় চর্চার কেন্দ্র হিসেবে ঘুকড়া মহাশ্মশানে বার্ষিক কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাড. সুকুমার চন্দ্র দাস ও চিকিৎসক অসিম কুমার মন্ডল কালী পূজা উপলক্ষে পাঠার মাংস খাওয়ার বিষয়ে বলেন, ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী এ দিনে উপবাস করার বিধান রয়েছে। কিন্তু আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু অতিউৎসাহী লোকজন বাজার থেকে পাঠার মাংস কিনে খান।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, কালী পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ ছিল।
পিডিএস/এমএইউ