হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
হিলিতে পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা
পূজার ছুটির পর থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যহত রয়েছে। গত কয়েক দিনের অতিরিক্ত গরম আর বৈরী আবহাওয়ার কারনে নষ্ট হয়ে গেছে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। এসব পেঁয়াজ আড়তের গুদামের মেঝেতে ঢেলে ফ্যান দিয়ে শুকানো হচ্ছে আর শ্রমিক দিয়ে চলছে বাছাই কাজ। আর এসব পেঁয়াজ স্বল্পমূল্যে বিক্রি হচ্ছে আড়তে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বস্তা বস্তা পেঁয়াজ ফেলে রাখা হয়েছে গোডাউনের বাহিরে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ মূলত বিক্রি হয়ে থাকে স্থলবন্দর থেকে। তবে পেঁয়াজের গুণগতমান খারাপ হওয়ায় পেঁয়াজগুলো নেয়া হয়েছে আড়ত ঘরে। সেখানে মেঝেতে ঢেলে শুকানো হচ্ছে ফ্যান দিয়ে। এরপরে শ্রমিক দিয়ে করা হচ্ছে বাছাই। ভালো পেঁয়াজ নেয়া হচ্ছে আলাদা ঘরে। সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। নিম্নমানের কিছু পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে। আর কিছু বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বস্তা দরে। এমনকি কিছু পেঁয়াজ ফেলেও দিতে হবে।
হিলি স্থল বন্দরের পেঁয়াজ আড়তদাড় মিজানুর রহমান বলেন, আমরা পেঁয়াজগুলো ভারত থেকে আমদানি করছি, এগুলো ব্যাঙ্গালোরের সাউথ থেকে লোডিং করা হয়েছে। এরপর বন্দরে আসতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ দিন। পুরো রাস্তাটাই পেঁয়াজ ত্রিপল দিয়ে বাঁধা থাকে। ফলে অতিরিক্ত গরম ও বৈরী আবহাওয়ায় থেমে থেমে বৃষ্টি, ফলে পেঁয়াজগুলো গাড়িতে ঘেমে গিয়ে অনেকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলোকে গুদামে এনে ফ্যান দিয়ে শুকানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩০০ বস্তা পেঁয়াজ পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি আমাদের।
তবে ভাল মানের পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দরের পাইকারী বাজারে ১০০ থেকে ১১০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহের তিন দিনে ভারতীয় ৮২ ট্রাকে দুই হাজার ৩৭৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।