উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

সড়কে বনায়ন কার্যক্রমে ভালো আয়ের সুযোগ

উল্লাপাড়ার ধামাইলকান্দি এলাকায় গাছ পরিচর্যায় কাজ করছেন স্থানীয় লোকজন -প্রতিদিনের সংবাদ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম প্রকল্পে টাকা আয়ের সুযোগ হয়েছে বলে জানা গেছে। এই কাজে গাছ লাগানো থেকে শুরু করে পরিচর্যাসহ কাটা অবধি যাবতীয় ধাপগুলোর করে দেওয়া হয় একটি দলের মাধ্যমে যারা আগ্রহী। দেখা গেছে একই সড়কে দ্বিতীয়বার লাগানো গাছের পরিচর্যা গত শুক্রবার শেষ হয়েছে। প্রথমবার একজন দলের সদস্য ভাগে পেয়েছিলেন এক লাখ দশ হাজার টাকা আয় করেছেন। এমনই তথ্য জানান এ কাজে জড়িত ব্যক্তিরা।

উল্লাপাড়ায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ধরইল পাকা সড়কের ঝবঝবিয়া সেতু এলাকা থেকে ধামাইলকান্দি বাজার অবধি প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির দুই পাশে নানা ধরণের বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানো হয়েছে। উপজেলা বন বিভাগের আওতায় সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে বামন ঘিয়ালা ও মধুপুর গ্রামের নানা পেশার ২২ জন মিলে একটি দল গঠন করে সড়কটির দুই পাশে বছর দেড়েক আগে প্রায় দুই হাজার গাছ লাগিয়েছেন। এর মধ্যে আকাশমণি বেলজিয়াম গাছের সংখ্যা বেশি এবং বাকী গাছ হলো মেহগিনি, অর্জুন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির দুইপাশে লাগানো গাছের পরিচর্যায় ডাল পালা ছেটে দেওয়া হচ্ছে। এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি এ কাজ করছেন। এ ছাড়া গাছগুলোর গোড়াসহ পুরো সড়কের দুই পাশের আগাছা পরিস্কার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাছ লাগানো দলটির সভাপতি মো. আছাহাব আলী জানান, বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে আগ্রহী হয়ে নানা পেশার ২২ জন মিলে দল গঠন করে গাছগুলো লাগিয়েছেন তারা। এখন পরিচর্যা করা হচ্ছে। বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে গাছ লাগানো থেকে শুরু করে পরিচর্যাসহ কাটা অবধি যাবতীয় খরচ তারা ২২ জন মিলেই করবেন। একই সমান হারে সবাই খরচের টাকা দিয়ে থাকেন। পনেরো থেকে আঠারো বছর বয়সকালে গাছগুলো কেটে বেচবেন বলে তাদের সিদ্ধান্ত আছে। এ কার্যক্রমে আয়ের টাকা তারা সমান হারে ভাগ করে নেবেন। তবে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমের নিয়ম নীতি মোতাবেক তারা গাছ বেচার পুরো টাকা পাবেন না। তারা ধরইল পাকা সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে দ্বিতীয় বার গাছগুলো লাগিয়েছেন।

এর আগে, প্রথমবার বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে বামন ঘিয়ালা এলাকার ছয় জন দল গঠন করে গাছ লাগিয়েছিলেন। বছর দুয়েক আগে সে গাছগুলো বেচা হয়েছে। সে দলের সভাপতি মো.কায়েম উদ্দীন প্রতিবেদককে বলেন, আঠারো বছর বয়সকালে গাছগুলো বেচা হয়েছিলো। তারা ছয় জনের প্রতিজন এক লাখ নয় হাজার ৬২৫ টাকা করে পেয়েছিলেন।

উপজেলা বন কর্মকর্তা দেওয়ান শহীদুজ্জামান জানান, ধরইল পাকা সড়কের দুইপাশে তার বিভাগ থেকে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে আগ্রহীরা দল গঠন করে গাছগুলো লাগিয়েছেন। তিনি একাধিক বার সেখানে পরিদর্শন করেছেন। এখানে লাগানো গাছগুলো বিক্রির মোট টাকার পঞ্চান্ন (৫৫) ভাগ দলের সদস্যগণ পাবেন। সে সময় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সদস্য সবাই সমান হারে টাকা ভাগ করে নেবেন। একই সড়কের শ্রীকোলা মোড় এলাকা থেকে পূর্ণিমাগাতী পর্যন্ত তার বিভাগ থেকে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে গাছ লাগানো হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া,বনায়ন কার্যক্রম প্রকল্প,গাছ পরিচর্যা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close