ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগে পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের কাছে আটক হয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের পদধারী এক নেতা। আটককৃত নেতা আব্দুল আলিম বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা শেষে ঘটনাটি ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের হাত থেকে ছাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা এবং বিভাগের সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়করা তাদের ইবি থানায় সোপর্দ করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তিনি শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তালিকা করে নানাভাবে হুমকি দিয়েছেন। এছাড়াও হলে থাকাকালীন সিটের বাণিজ্য, অসুস্থ শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার নামে প্রায় দেড় লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের বিরোধিতা, সিট বাণিজ্য, টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন। পরীক্ষা দিতে আসলে সে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি তার নিরাপত্তার স্বার্থে সেফলি ইবি থানায় নিয়ে আসছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার সাথে সাথেই আমি বিভাগে গিয়েছি। পরে আটককৃত শিক্ষার্থী যাতে কোনো রকমের মব জাস্টিসের শিকার না হয় সেজন্য পরীক্ষা হল থেকে তাকে নিয়ে থানায় সোপর্দ করেছি। এখন আমরা প্রশাসনের সবাই মিলে বসে আলোচনা করবো তার বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।

এ বিষয়ে ইবি থানায় অফিসার্স ইনচার্জ মামুন রহমান বলেন, সেই ছাত্রলীগ পদধারী নেতাকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আটক করে। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদেরকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে নিয়ে আসে। আমরা গ্রহণ করেছি। আমাদের ডেটাবেইসে যদি তাদের নামে কোনো অভিযোগ থাকে সেক্ষেত্রে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।