মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
মান্দায় গ্রাহকের সঙ্গে ভাটা ব্যবসায়ীর প্রতারণার অভিযোগ
নওগাঁর মান্দায় গ্রাহকের সাথে ইট ভাটা মালিকের প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারক ইটভাটা মালিক আফছার আলী উপজেলার কসব ইউপির ভোলাগাড়ি এলাকার মেসার্স সালেহা ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী ।
এলাকাবাসী ও প্রতারণার শিকার বিশিষ্ট ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম জানান, ভাটামালিক আফছার আলী দীর্ঘদিন থেকে ইট ক্রেতা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। কম দামে ইট দেওয়ার নামে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করে হয়হানির এক পর্যায়ে নিম্নমানের ইট দিয়ে থাকে। এভাবে গ্রাহকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে আঙ্গুর ফুলে কলা গাছ হয়েছে। স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে গ্রামের ভিতর কৃষি জমিতে ভাটা স্থাপন করেছেন। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়ায় ইচ্ছামতন খড়ি দিয়ে ইট পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণ করে চলেছেন। যার ফলে এলাকার ফসললাদি ও ফলজ বৃক্ষের উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বসত বাড়ির কাছে ও কৃষি জমির উপর খড়ি ভাটা স্থাপন করে একলাবাসীকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছেন।
ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম আরো জানান, ভাটা মালিক আফছার আলীর কাছ থেকে ঠিকাদারি কাজের জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ইট ক্রয় করে প্রতারণার শিকার হয়েছি। প্রতারণা বুঝতে পেরে কয়েকটি ইটের গাড়ি গণণা করে দেখি প্রত্যেক গাড়িতে ২ থেকে ৩শত ইট কম দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চুক্তিবদ্ধ ইটের মধ্যে নিম্নমানের ইট দিয়েছে তিনি। ইটের কোয়ালিটি দেখে জনগণ রাস্তার কাজে ইট ব্যবহার করতে দেয়নি। এভাবেই গ্রাহক ঠকিয়ে তিনি ব্যবসা করে আসছেন। আর এসব অবৈধ কাজের কেউ প্রতিবাদ করলে ছেলে মহসিন তার বাহিনীকে নিয়ে হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ইট ভাটা মালিক আফছার আলী বলেন, পরিবেশ অধিদফতরের কোন ছাড়পত্র নেই। ভ্রম্যমাণ আদালতে জরিমানা ও চাঁদা দিয়েই কয়েক বছর থেকে ভাটা ব্যবসা করে আসছি। এলাকবাসী ও ঠিকাদারের অভিযোগ সঠিক না।
পিডিএস/এমএইউ