ত্বকী হত্যা মামলায় জামাই মামুন গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) চাঞ্চল্যকর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪০) ওরফে জামাই মামুন নামে আরো এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাংরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন বরিশালের সদর থানার চরমোনাই এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১১’র মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে জামাই মামুন দীর্ঘদিন ঢাকায় আত্মগোপন ছিল। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাবলীগ জামাতের ছদ্মবেশে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির রামগড় যাওয়ার সময় খাগড়াছড়িগামী বাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার আসামি মামুনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হলে কোর্টে রেভারেঞ্জের কারণে আসামির রিমান্ড শুনানি হয়নি। আগামী রোববার (৬ অক্টোবর) মামলার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। বর্তমানে আসামিকে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ত্বকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে জেলার সদর থানাধীন চাষাড়া এলাকা থেকে ইয়ার মোহাম্মদ পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া থেকে সাফায়েত হোসেন শিপন ও কালীরবাজার এলাকা থেকে মামুন মিয়া এবং ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধানমন্ডি থেকে কাজল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। পরে ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার আরেক আসামি আজমেরী ওসমানের সাবেক গাড়িচালক জামশেদ শেখকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শায়েস্তা খান রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে স্থানীয় সুধীজন পাঠাগারে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। পরদিন তার ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়, যেখানে দেখা যায় মেধাবী ত্বকী পদার্থবিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৯৭ পেয়েছেন। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।