সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ
আগাম শীতকালীন সবজি চাষাবাদে ব্যস্ত কৃষক
সিরাজগঞ্জের কৃষকেরা সবজি উৎপাদনেরও পিছিয়ে নেই। এখানে উৎপাদিত সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। এতে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলার কৃষকেরা শীতকালীন আগাম সবজি চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৮ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে শীতকালীনসহ সবজি চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। সারা বছরই বিভিন্ন উপজেলায় বছর জুড়ে কম বেশি বিভিন্ন রকম সবজি চাষবাদ হয়ে থাকে। শীতকালে এ চাষবাদের পরিধি আরও বেড়ে যায়। চলতি মৌসুমেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৯টি উপজেলার কৃষকরা জমি প্রস্তুতির কাজে নেমে পড়ে চাষিরা। ইতিমধ্যেই আগাম জাতের সবজির বীজতলা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, সবজি চাষে লাভবান এবং প্রতিদিন নগদ টাকা পাওয়া যায় বলে কৃষকরা এ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে। জেলায় বছর জুড়ে নানা রকম সবজি চাষাবাদ হয়। ইতিমধ্যেই এসব জমিতে শীতকালীন ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, আলু, শাক, গাজর,শসা, সিম, বেগুন, মূলা, লাউ, মরিচসহ বিভিন্ন রকম সবজি লাগানো হয়েছে। অনেক এলাকার মাঠে এসব সবজি বড় হয়ে গেছে।
খোকশাবাড়ি এলাকার কৃষক শাহজামাল জানান, তিনি এবার ৫০ শতক জমিতে আগাম জাতের লাউ, মুলা, কপিসহ বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষাবাদ করেছেন। ফলন এবং বাজারে সবজির দামও ভাল পেয়েছেন। উৎপাদিত সবজি ক্রয় বিক্রিয়ের জন্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে ওঠেছে সবজি আড়ৎ। সারাদেশের পাইকাররা এখান থেকে সবজি কিনে নিয়ে যায়।
জেলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, এ বছর সদর উপজেলায় এক হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আগাম জাতের লাউ, ফুল কপি, মুলা জাতীয় সবজি বাজারে এসেছে। আগাম জাতের সবজির ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি। কৃষি অফিস থেকে সবজি চাষিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হয়।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম মফিদুল ইসলাম জানান, এ জেলায় চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। কৃষকরা আগাম জাতের সবজি বিক্রি করে বেশ লাভবান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।