মানিকগঞ্জে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের আগের দিন সময় গত ৪ আগস্ট জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৪১ নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

গত বুধবার রাতে মানিকগঞ্জ পৌর শাখার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় এই মামলা করেন। এতে ৯১ জনের নাম উল্লেখ্য ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আনা হয়েছে।

এজহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের পরিকল্পনা ও মদদে আসামিরা পেট্রোল ঢেলে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়সহ একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা অস্ত্র দেখিয়ে তা-ব চালায়। এতে অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

মামলার উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, যুগ্ম-সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল ও কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা ও আমিরুল ইসলাম মট্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক তুষার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, সদস্যসচিব মাহাবুবুর রহমান জনি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কৌরাইশী সুমন, সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি বাবুল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ তোতা।

আসামিদের মধ্যে আরো আছেন মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক হাসেম আলী; সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্রাফিল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আফছার সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী রানা, কাজী রাজু আহমেদ বুলবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক খান খালিদ, এনামুল হক রুবেল ও আল মামুন, ছাত্রলীগ নেতা মীম, কম্পন ও যুবলীগ নেতা জুয়েল ভূইয়াসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ জানান, জেলা বিএনপি কার্যালয় ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা অস্ত্র প্রদর্শণ করে তা-বের অভিযোগে সদর একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।