চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
৩ বছর বেতন-ভাতা বকেয়া চিলমারীর গ্রামপুলিশের
কড়িগ্রামের চিলমারীতে গ্রামপুলিশদের (দফাদার ও মহল্লাদার) বেতন-ভাতার ইউনিয়ন পরিষদের অংশ দীর্ঘদিন ধরে না পাওয়ার অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। নিরুপায় হয়ে প্রতিনিয়ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসছেন সদস্যরা।
গ্রামপুলিশ সদস্যদের অনেকের দাবি স্বজন-প্রীতি করে কাউকে কাউকে কিছু দিনের বকেয়া অর্থ দিলেও অধিকাংশই পাচ্ছেন না তাদের বকেয়া অর্থ।
জানা গেছে, উপজেলার ৬ ইউনিয়নের প্রতিটিতে একজন দফাদার ও ৯ জন মহল্লাদার দিলে ১০ জন হিসাবে উপজেলায় মোট ৬০ জন গ্রামপুলিশ (দফাদার ও মহল্লাদার) দায়িত্ব পালন করে আসছে। নিয়মানুযায়ী দফাদার মাসিক ৭ হাজার টাকা ও মহল্লাদার ৬ হাজার ৫শ টাকা হারে বেতন-ভাতা পাবে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ দফাদার সাড়ে ৩ হাজার টাকা এবং মহল্লাদার ৩ হাজার ২৫০টাকা সরকারি অংশ যা তারা নিয়মিত পেয়ে আসছেন। বাকী ৫০ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাওয়ার কথা।
গ্রামপুলিশ সদস্যদের বেতন ভাতার ইউনিয়ন পরিষদ অংশ ব্যক্তি ভেদে ২১ মাস থেকে ৩৬ মাস পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া তাদের যাতায়াত ভাতা (থানায হাজিরা), উৎসব ভাতা, বৈশাখি ভাতা এবং শ্রান্তি বিনোদনের অর্থও বকেয়া রয়েছে বলে জানা গেছে।
- প্রতিনিয়ত ইউএনওর কার্যালয়ে আসছেন সদস্যরা
- গ্রামপুলিশের বেতন বকেয়া ৭৯ লাখ ৫৫ হাজার ২০০ টাকা
- বরাদ্দ এলে তাদের বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ করার কথা জানান ইউএনও
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিষদের ফান্ড শূন্য থাকায় গ্রামপুলিশদের বেতন বাবদ ৪০ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫০টাকা, শ্রান্তি বিনোদন ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, যাতায়াত ২৭ লাখ ৩২ হাজার ৪০০ টাকা ও উৎসব ভাতা ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৫০ টাকা মিলে মোট ৭৯ লাখ ৫৫ হাজার ২০০ টাকা বকেয়া রয়েছে।
গত রবিবার দুপুরে প্রামপুলিশদের (দফাদার ও মহল্লাদার)উপজেলা পরিষদের সামনে বকেয়া বেতন-ভাতা আদায়ের দাবি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তারা জানান, ২১ মাস থেকে ৩৬ মাস পর্যন্ত তাদের বেতন ভাতার ইউনিয়ন পরিষদ অংশ, যাতায়াত ভাতা (থানায হাজিরা), উৎসব ভাতা, বৈশাখি ভাতা এবং শ্রান্তি বিনোদনের অর্থও বকেয়া থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। গ্রামপুলিশ সদস্য অনেকের দাবি স্বজন-প্রীতি করে কাউকে কাউকে কিছু দিনের বকেয়া অর্থ দিলেও অনেকে বকেয়া টাকা পাচ্ছেন না।
উপজেলা গ্রামপুলিশ কমিটির সভাপতি দফাদার মো. আ. আজিজ জানান, আমরা গ্রামপুলিশ সদস্যরা ২১ থেকে ৩৬মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতার ইউনিয়ন পরিষদ অংশসহ আনুষঙ্গি না পেয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছি। এতদিনের বকেয়া চাইতে আসলে আমাদের এক মাসের বকেয়া নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা নিয়ে কি করব?
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, প্রাম পুলিশদের (দফাদার ও মহল্লাদার) বেতন-ভাতার ইউনিয়ন পরিষদের অংশের বকেয়া মিটাতে বরাদ্দ চেয়ে ওপরে লেখা হয়েছে। বরাদ্দ এলে তাদের বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ করা হবে।
পিডিএস/জেডকে