চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
পুলিশের সামনে মামলার বাদীকে মারধর
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মামলার তদন্তে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই বাদী পক্ষের মহিলার গায়ের কাপড় ছিঁড়ে ফেলাসহ আরো দুজনকে মারধর করেছেন বিবাদী পক্ষের লোকজন। তবে বিবাদী পক্ষের দাবি উল্টো তাদের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের পুটিমারী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘটনার বিবরণ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে জেলে সম্প্রদায়ের নিকট চাঁদা দাবি করাকে ঘিরে ওই এলাকার রামচন্দ্র দাস স্থানীয় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরই সূত্র ধরে ঘটনার দিন সকালে চিলমারী মডেল থানার ওসিসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ওই এলাকায় যান মামলার তদন্তে।
ঘটনাস্থলে বাদী-বিবাদী সবারই উপস্থিত ছিলেন। এর একপর্যায়ে পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে জানান তেমন ঘটনা ঘটেনি। এ কথা শুনে মামলার আসামি ফুলমিয়া এবং আসামি মাসুদের মা ও বোন বাদীপক্ষের রাম চন্দ্র দাসের স্ত্রী চম্পা রানীসহ আরো দুজনকে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী জেলে রাম চন্দ্র দাস বলেন, ওসি স্যার আসছে মামলা তদন্ত করতে, তদন্ত করে বলছে অভিযোগের তেমন কিছু নাই। একথা বলার পর বিবাদী পক্ষের লোকজন আমার পরিবারের ওপর হামলা করে। আমার স্ত্রীর কাপড় ছিড়ে ফেলেছে।
অভিযোগ অশিকার করে বিবাদী পক্ষের মিলন মিয়া বলেন, আমাদের লোকজন কোনো মারধর করেনি। বরং রাম চন্দ্রের পরিবার নিজের কাপড় নিজে ছিড়ে ফেলেছে। উল্টো আমার বাড়িতে হামলা করেছে। এসে দেখে যান।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, মামলার তদন্তে গিয়েছিলাম, আমাদের সামনে মারধরের ঘটনা ঘটে নাই। ওখানে এলাকার অনেক গণ্যমান্য লোকজন ছিলেন।
উপজেলার পুটিমারী কাজলডাঙ্গা এলাকার জেলে সম্প্রদায়ের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি, বিনা মূল্যে মাছ নেওয়াসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে একই এলাকার কতিপয় যুবক। বর্তমানে জেলে সম্প্রদায়ের রাম চন্দ্র দাসের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী রাম চন্দ্র দাস বাদী হয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর চিলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন ওই এলাকার মিলন মিয়া, নয়ন মিয়া, মাসুদ মিয়া, সুমন মিয়া। এছাড়া বেনামি আরো ৪ থেকে পাঁচজন রয়েছেন।