জি এম মনিরুজ্জামান, শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)
খুলে নেওয়া দরজা সেবার জন্য উম্মুক্তর ঘোষণা ওসির
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা থেকে খুলে নেওয়া দরজা পুনরায় আটকানো হবে না বলে ঘোষণা করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান। সেবা প্রত্যাশী মানুষের জন্য সার্বক্ষণিক থানার দরজা উম্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত সোমবার রাতে উপজেলায় কর্তব্যরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ওসি মেহেদী।
শ্যামনগর থানায় সদস্য যোগ দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, যে কয়দিন তিনি নতুন কর্মস্থলে (শ্যামনগর থানা) থাকবেন, অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। নিরাপরাধ কোনো মানুষ অহেতুক হয়রানী হবে না উল্লেখ করে তিনি ঘোষণা দেনÑশ্যামনগর থানাকে নিশ্চিতভাবে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে। যাবতীয় নেতিবাচক কাজ বাদ দিয়ে থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সেবায় নিয়োজিত করা হবে।
মতবিনিময় সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান, প্রেস ক্লাবে সভাপতি সামিউল মনির, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রনজিৎ বর্মন, জাহিদ সুমন, আবু কওছার। আরো ছিলেন প্রকৌশলী শেখ আফজালুর রহমান, হিন্দু পরিষদ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অনাথ মন্ডল, সদস্য উৎপল মন্ডল, তপন বিশ্বাস, আব্দুল কাদের, সোহরাব হোসেন, মুরাদ হোসেন, মেহেদী হাসান মারুফ, সরদার সিদ্দিক, সালাউদ্দীন বাপ্পী, আবু মুছা, টুমু হাসান, ফিরোজ হোসেন, আমিনুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।
এর আগে ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় দুবৃর্ত্তরা হামলা চালিয়ে শ্যামনগর থানায় অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় অস্ত্র, গোলাবারুদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের নিত্যব্যবহারের জিনিসসহ লুটপাট চালানো হয়। রাত ধরে চলা লুটপাটে দুস্কৃতিকারীরা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয়সহ বিভিন্ন কক্ষ, এমনকি শৌচাগারের দরজাগুলো খুলে নিয়ে যায়। বিধ্বস্ত ভবন হিসেবে কয়েকদিন পড়ে থাকার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় সম্প্রতি স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে শ্যামনগর থানায়।