গাজীপুরের শ্রীপুর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে মানববন্ধন-বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজন।

জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসসহ সব আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে এই বিক্ষোভ করে তারা। এতে ওই স্টেশনে প্রায় দুই ঘণ্টা ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়ে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার শ্রীপুর স্টেশনে প্রায় দুই ঘণ্টা ব্রম্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে রাখে আন্দোলনকারীরা। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন ট্রেনে থাকা শিশু-বৃদ্ধ, বিদেশীসহ হাজারো যাত্রী।

পরে শ্রীপুর রেলওয়ে মাস্টার সাইদুর রহমান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আন্তঃনগর ট্রেনটিগুলো দুই মিনিটের যাত্রা বিরতির আশ্বাস দিলে, দুপুর একটার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসসহ সব আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির জন্য বহুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। বহুবার আন্দোলনের মুখে একাধিক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি) দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত শ্রীপুর স্টেশনে ট্রেন থামেনি। গত দুই বছর আগেও তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাগজপত্র চট্টগ্রাম রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন হয়নি এখনো।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, শ্রীপুর শিল্প এলাকা হওয়ায় প্রায় ২০ লাখ লোকের বসবাস। তাদের শহরে যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়। সব আন্তঃনগর ট্রেন থামলে সহজে মালামাল পরিবহনসহ তাদের যাতায়ত সহজ হবে।

জানতে চাইলে শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, ‘সব আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে বেলা ১১টায় ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে রাখে এলাকাবাসী। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্রহ্মপুত্র ট্রেনের দুই মিনিট যাত্রা বিরতির আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়। পরে দুপুর একটার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’

আন্দোলনকারীদের মধ্যে স্টেশনে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন ও সিরাজ উদ্দিন, আন্দোলনের সমন্বয়ক তপন বণিক, আমানুল¬াহ কবিরাজ, জোবায়ের আহমেদ, শাকিল আহমেদ, ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হাবিব হাসান প্রমুখ।