ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনা-সাতক্ষীরা
মহাসড়কে খানাখন্দ, সংস্কারের টাকা লুটের অভিযোগ
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক নির্মাণে ও প্রশস্তকরনের পরের বছর থেকেই রাস্তায় খানাখন্দের হয়ে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। চলতি বর্ষা মৌসুমে এ সড়কটির অধিকাংশ জায়গায় পিচ সড়ে হয়েছে বড় গর্ত। এতে চলাচলে সড়কে একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা। নামেমাত্র সংস্কার না করে শিগগির সড়কটির স্থায়ীভাবে সংস্কারের দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খুলনার জিরো পয়েন্ট থেকে আঠারোমাইল বাজারের পরে সুভাষিনী বাজারের আগ পর্যন্ত মোট ৩৩ কিলোমিটার। সড়কটির পূর্ননির্মাল কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। শেষ হয় ২০২০ সালে। নির্মাণ ব্যয় হয় ১৬০ কোটি টাকা। মোজাহার এন্টারপ্রাইজ কাজটি করে। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তাটি বেহাল হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাজের মান এতটাই নিম্ন মানের যে নির্মাণের পর থেকে বিটুমিন ওঠতে থাকে। তৎকালীন খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের কারসাজিতে এ সড়ক নির্মাণে হয়েছে বড় অনিয়ম। অধিকাংশের দাবি এ মহাসড়ক নির্মাণে হয়েছে হরিলুট। একেবারে নিম্নমানের ইট বালি, পাথর ও বিটুমিন ব্যবহার করায় অতি দ্রুত এ মহাসড়কটি চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, মোজাহার এন্টাপ্রাইজ খুলনা সওজের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় এ রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। যে কারণে রাস্তাটির বর্তমান এমন বেহাল দশা। রাস্তাটি নির্মাণের শেষের দিকে খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন মো. আনিছুজ্জামান মাসুদ। তিনি যেনতেন ভাবে রাস্তার কাজ শেষ করেন। পরের বছরই রাস্তার অবস্থা খারাপ হলে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ কোন রকমে দায়সারা ভাবে সংস্কার কাজ করেন। এ ভাবে ৩ বছর পরে গেল বছর থেকে সড়ক ও জনপদ বিভাগ নিজেরাই রুটিং সংস্কার করছেন।
এদিকে অনিয়মের কথা জানতে মোজাহার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কাজী মোজহারুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
খুলনার সড়ক ও জনপদ বিভাগের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ হোসেন জানান, রাস্তাটির অবস্থা এখন বেশ খারাপ। বহন ক্ষমতার বেশি ট্রাক প্রতিদিন এ রাস্তায় অতিমাত্রায় চলাচল করায় রাস্তার অবস্থা বেশি খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশি খরাপ ৬ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
খুলনার সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাবেক খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনছুজ্জামান মাসুদ জানান, পদ্মা সেতু হওয়ায় এ সড়কে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ এবং ওভালোডিং হওয়ায় রাস্তার এ বেহাল হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে ওই রাস্তায় টেন্ডার হয়েছে। শিগগির কাজ শুরু হবে। বিশেষ করে দুটি বাকও সোজা করনের কাজও এসময় করা হবে।