রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীতে হত্যার ছয় মাস পর যুবকের মৃত্যুদণ্ড
রাজবাড়ীর পাংশায় স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিতে এক বৃদ্ধা হত্যার ঘটনা করা মামলায় বিশ^জিৎ কুমার বিশ্বাস (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) উজির আলী শেখ।
হত্যার শিকার আশালতা দাস (৭৫) জেলার পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া গ্রামের মৃত সন্তোষ কুমার দাসের স্ত্রী। বিশ^জিৎ কুমার বিশ্বাস একই গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিতে আশালতা দাসের বাড়িতে ঢুকে তাকে প্রথমে শ্বাসরোধ ও পরে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন বিশ্বজিৎ। পরের দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির কাজের লোক ঘরের বারান্দায় আশালতা দাসের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। ওই দিন তার মেয়ের জামাই স্বপন কুমার বিশ্বাস অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে পাংশা থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ সন্দেহভাজন বিশ্বাজিৎ কুমারকে লুন্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার, হত্যার কাজে ব্যবহৃত হাতুরী উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার করে। পরে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন বিশ্বজিৎ।
মামলার বাদী স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘পুলিশের ও বিচারকের আন্তরিকতায় ২৬ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর আজ মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেছে। এ রায়ে আমি সন্তষ্ট।’
রাজবাড়ী জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) উজির আলী শেখ বলেন, ‘আশালতা দাস বাড়িতে একাই থাকতেন। স্বর্ণালংকারের লোভে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে তাকে হাতুরি পেটায় হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুট করে বিশ্বজিৎ। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে।’
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পিপি উজির আলী বলেন, ‘এত দ্রুত বিচারিক কাজ সম্পন্ন হলে সমাজে অপরাধী হ্রাস পাবে এবং আদালতের মামলা জট কমবে। এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’