টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
টুঙ্গিপাড়ায় অভিযোগ
গুচ্ছগ্রামের জায়গায় দোকান, বাধা দেওয়ায় হুমকি
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গুচ্ছগ্রামের জায়গা দখলে নিয়ে দোকান নির্মাণ করে পরিচালনা করছেন ক্যারাম বোর্ডের মাধ্যমে জুয়ার ব্যবসা। আরো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে এনেছেন বালু ও মিস্ত্রী। স্থানীয়রা বাধা দিলে উল্টো পেতে হচ্ছে খুন-জখমের হুমকি।
এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামের চাঁন মিয়া ও তার ৫ ছেলের বিরুদ্ধে। গত রবিবার এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছে একই গ্রামের বেলায়েত ফকির।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯-১০ সালে টুঙ্গিপাড়া কোটালীপাড়া সড়ক নির্মাণ করতে গিমাডাঙ্গা মৌজার বিআরএস ১২০৩৩ দাগে চাঁন মিয়া ও তার শরিকদের ১৩ শতক জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। এছাড়া ওই সড়কের পাশেই রয়েছে সরকারি গুচ্ছগ্রাম। সেই জায়গায় ২-৩ বছর আগে থেকে চাঁন মিয়া ও তার ছেলেরা দোকান নির্মাণ করে পরিচালনা করছেন ক্যারাম জুয়ার ব্যবসা। বর্তমানে সেই দোকানের পাশে আরো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার জন্য ইতোমধ্যে বালু ও মিস্ত্রি এনে মাপামাপি করছেন জায়গা। স্থানীয়রা বাধা দিলে চাঁন মিয়া ও তার ছেলেরা উল্টো খুন ও জখমের হুমকি দেয়।
- স্থানীয়রা বাধা দিলে খুনের হুমকি
- ইউএনওর কাছে অভিযোগ বেলায়েত ফকিরের
- তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস ভূমি সহকারী কমিশনার সৈকত রায়হানের
অভিযুক্ত চাঁন মিয়ার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ফয়সাল ফকির বলেন, ২০০৯-১০ এ এই জায়গা সরকার অধিগ্রহণ করে। তখন প্রত্যেকেই যার যার অংশের টাকা তুলে নিয়ে গেছে। এখন এই জায়গা সরকারি খাস সম্পত্তি হওয়ার পরেও দোকান নির্মাণ করে ক্যারাম বোর্ড জুয়া পরিচালনা করছে। এছাড়া যুব উন্নয়নের জায়গাও দখল করে দোকান ভাড়াও খাচ্ছে তারা। সরকারি সম্পত্তি দখল করার অধিকার কারো নেই।
লিখিত অভিযোগকারী একই গ্রামের বেলায়েত ফকির বলেন, চান মিয়া একজন ভূমিদস্যু হিসেবে চিহ্নিত। তিনি এভাবেই বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তি দখল করে দোকান নির্মাণ করে সেগুলো ভাড়া দিয়ে টাকা নেয়। গুচ্ছগ্রামের জায়গা দখল করেছে এখন তার পাশের জায়গাও দখল করার পাঁয়তারা করছে। তাই খাস সম্পত্তির উপরে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণকারীদের শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চাঁন মিয়া ওই স্থানে তার কিছু জায়গা আছে দাবি করে বলেন, আমি ওইখানে বালি ভরাট করেছি কিছু চলা রাখার জন্য। কোনো দোকানঘর উঠাবো না। সবাইকে এ ব্যাপারে ভুল বোঝানো হচ্ছে।
টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈকত রায়হান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সরকারি জায়গা দখল করা অপরাধ। সরেজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পিডিএস/জেডকে