লুৎফুল আলম সজল, নড়াইল

  ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মেয়াদে সম্পন্ন ৬০ শতাংশ কাজ, নড়াইলে সওজর উচ্ছেদ শুরু

নড়াইল শহরের ভওয়াখালী এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সওজর অভিযান। ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

নড়াইলের শহরাংশের সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ শুরু হয়েগেছে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে নাগাদ কাজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে অসমাপ্ত কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার জন্য শহরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।

মঙ্গলবার দুপুরে নড়াইল-যশোর সড়কে শহরের ভওয়াখালী ও রূপগঞ্জ এলাকায় এ উচ্ছেদ চালানো হয়।

উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সওজর খুলনা বিভাগীয় (স্টেট ও আইন) কর্মকর্তা মো. ইয়ানুর রহমান। এ সময় নড়াইল সওজর কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, শহরতলি মালিবাগ থেকে সীতারামপুর পর্যন্ত শহর অংশের সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালে শুরু হয়। ২০২৪ সালের জুন মাস নাগাদ কাজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সওজ অধিদপ্তর। সড়ক বিভাগের পক্ষে কাজটি তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় মহাসড়কের অংশ হিসেবে শহরতলি মালিবাগ থেকে শহরের ভেতর দিয়ে সীতারামপুর পর্যন্ত ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটা নড়াইল শহরাংশের সড়ক প্রশস্ত ও চার লেনে উন্নীতকরণ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালে শুরু হয়। সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয় সওজ। কিন্তু ভাঙার আওতা থাকা শহরের ভওয়াখালী ও রুপগঞ্জ বাজারের ব্যক্তি পর্যায়ের বেশ কয়েকটি মার্কেট, নড়াইল পৌরসভা ও জেলা পরিষদের কয়েকটি মার্কেটও রয়েছে। পলে ২০২৪ সালের জুন মাস নাগাদ কাজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।


  • সাড়ে ৫ কিমি সড়কের কাজ শুরু হয় ২০২২ সালে
  • ২০২৪ সালের জুনে নাগাদ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল
  • ১৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সওজ অধিদপ্তর

এদিকে ভাঙার আওতায় থাকা মার্কেটগুলো রক্ষা করে কীভাবে রাস্তা প্রশস্তকরণ করা যায়, এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘদিন আলোচনা করেও কোনো সমাধান হয়নি। এ সব মার্কেট ভেঙে দিলে কয়েকশত ব্যবসায়ি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। পরে মার্কেট ভাঙার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসেন ব্যাবসায়ীরা।

জানতে চাইলে নড়াইল সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রশস্তকরণের কাজ এগিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বিভিন্ন সময়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দখলদাররা জায়গা খালি না করায় মঙ্গলবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ৩টি পাকা স্থাপনা, কয়েকটি বাউন্ডারি ওয়াল, ১২টি টিনসেড দোকান এবং ৩০টির মতো ফুটপাতের কাঁচা অস্থায়ী ঘর রয়েছে। তবে অনেকেই নিজেরাই ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন।

সওজ বিভাগ খুলনা বিভাগীয় স্টেট কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও জনপথের জায়গা কিছু লোক অবৈধভাবে দখল করে আসছিলেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সেই বেদখল জায়গাগুলি দখল মুক্ত করা হচ্ছে। এ অভিযান চলবে। কোনো স্থাপনা, মার্কেট বা দোকান হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেগুলো আইনী প্রক্রিয়া শেষে উচ্ছেদ করা হবে।’

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close