মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা শাহ আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আগে থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ছিল। এবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ার শঙ্কায় কর্মস্থলে আসছেন না অনেকদিন।

এর প্রতিবাদে রবিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর অবস্থান নিয়ে ওই চিকিৎসা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল কর্মরত জুনিয়র কনসান্টেন (ইএনটি) মুহা. ইফতেখারুল ইসলাম ও সহকারী সার্জন ফেরদৌস রহমান খান।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে যোগ দেন চিকিৎসক শাহ আলম সিদ্দিকী। এরপর থেকেই বিরুদ্ধে ভুয়া-বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাত, ছদ্মনামে হাসপাতালের ঠিকাদারি কাজসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার সকালে হাসপাতালে যান একদল শিক্ষার্থী। এমন খবরে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা। এ সময় ছাত্রদের তোপের মুখে পড়েন হাসপাত লে কর্মরত জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি) মুহা. ইফতেখারুল ইসলাম ও সহকারী সার্জন ফেরদৌস রহমান খান। সিভিল সার্জন মকছেদুল মোমিন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহ আলম সিদ্দিকীকে ফোন করেন তারা। এ সময় তারা বিভিন্ন অনিয়মের কথাও স্বীকার করেন। এসব অভিযোগ চিকিৎসক শাহ আলম সিদ্দিকী পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

হাসপাতালে কর্মরত জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি) মুহা. ইফতেখারুল ইসলাম ও সহকারী সার্জন ফেরদৌস রহমান খান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহ আলম সিদ্দিকী বর্তমানে এক মাসের ছুটিতে আছেন। কিন্তু কর্মরত ডাক্তার ছুটির কোনো নথিপত্র দেখাতে পারেননি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাকিল বলেন, ‘স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহ আলম সিদ্দিকী যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকের সহযোগিতায় এ কাজগুলো করে থাকেন তিনি। নিজেকে আওয়ামী ডাক্তারদের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন। তার পদত্যাগ ও শাস্তি দাবি করছি।’