জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
জগন্নাথপুরে বন্যার প্রভাব
পানিবাহিত রোগে দৈনিক হাসপাতালে ৭০ জন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এখনো নিম্নাঞ্চলে পানি রয়েছে। ধীর গতিতে পানি কমায় পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। জ্বর সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগির সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
সরেজমিনে বুধবার (১০ জুলাই) জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গত কয়েকদিন যাবৎ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুরা হাসপাতালে আসছেন। অধিকাংশই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এছাড়া প্রতিদিন জ্বর-সর্দি নিয়ে অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে আসছেন।
এদিকে কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়। এতে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছিল। বন্যার্তদের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ৩টি মেডিকেল টিম গঠন করে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আরা বলেন, গত কিছুদিন ধরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে চাপ বাড়ছে। এ ৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রায়শই ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। বন্যা পরিস্থিতিতে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণসহ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মেডিকেল ক্যাম্প করেছেন বলে জানান তিনি।
জানা যায়, সস্প্রতি অব্যাহত বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে জগন্নাথপুর উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক গ্রামের বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে পড়েন। গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও এখনো বানের পানি উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে রয়েছে। দুর্ভোগ এখনো কমেনি বলে জানা যায়।
পিডিএস/আরডি