আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আমতলীতে গুপ্তধনের নামে প্রতারণা
বরগুনার আমতলীতে মো. জলিল হাওলাদারের পরিবারের সঙ্গে গুপ্তধন দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ ওঠেছে কবিরাজ জসিম উদ্দিন এর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
জলিল হাওলাদার জানান, তার মেয়ে ফারজানা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ভাবে অসুস্থ, অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েও সুফল পানিনি। সর্বশেষ তার জামাই হিরন এর মাধ্যমে জসিম কবিরাজকে বাড়িতে এনে মেয়ের চিকিৎসা করান। মেয়ে এখন মোটামুটি সুস্থ। তবে ওই কবিরাজ বলছে এবং তার মেয়ে স্বপ্নের মধ্যে দেখেছে যে গত মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পাতিল খোলা হলে পাতিলের মধ্যে থেকে কোটি টাকার সোনার পয়সা ও গুপ্তধন বের হবে। এজন্য কবিরাজ জসিমকে ৭০ হাজার টাকা দিতে হবে। জলিল একজন দিন মজুর অনেকের কাছ থেকে ধারধেনা করে কবিরাজকে ৭০ হাজার টাকা দেন। কবিরাজের কথা মত মঙ্গলবার সকালে জলিল তার নিকটতম আত্মীয়দের বাড়িতে খবর দিয়ে অনেন গুপ্ত ধনের পাতিল খোলা হবে এই জন্য। একইসময় নিকটতম আত্মীয় স্বজন ও গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিরা এবং খবর পেয়ে আমতলী থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমানের উপস্থিতিতে পাতিল খোলা হয়। এসময় সাদা কাপড়ে মোড়ানো পাকিস্তানের ১৯৬৫ সালের ৫ পয়সার একটি কয়েন ও ১৯৯৪ সালের ভারতীয় ১০০ পায়সার একটি কয়েন পাওয়া যায়। এছাড়া ওই পাতিলে আর কিছুই পাওয়া যায়নি। তিনি ওই কবিরাজের শাস্তির দাবি করেন।
উপ-পরিদর্শক মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে পাতিল খোলা হলে সাদা কাপড়ে মোড়ানো পাকিস্তানের ৫ পয়সার একটি কয়েন ও ভারতীয় ১০০ পায়সার একটি কয়েন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।