ফরিদপুর প্রতিনিধি
খাবারে বিষ ‘প্রয়োগে’ একই পরিবারের ৮ জন হাসপাতালে

ফরিদপুরের সালথায় খাবার খেয়ে এক কৃষক পরিবারের ৮ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা তিনদিন ধরে জেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পূর্ব বিরোধের জেরে ওই কৃষকের বাড়ির খাবারে বিষ মেশানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবেশি সম্রাট মাতুব্বরের (৩৬) বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি করা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে শনিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়ার যুগিডাঙ্গা এলাকার জয়নাল মাতুব্বরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
খাবারে বিষক্রিয়ায় অসুস্থতরা হলেন— ডালিয়া বেগম (৩৫), তার মেয়ে যুথী (১৬), একই পরিবারের পপি (২৫), হৃদয় (১৬), ফাতেমা (৮), মিম (৯), অনিতা (২২) ও রাজিব (২০)।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার কৃষক জয়নাল মাতুব্বরের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের আম-কাঁঠাল ও পিঠার দাওয়াত দেন। এ সময় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিবেশী সম্রাট মাতুব্বর গরুর গোস্তে কৌশলে বিষজাতীয় পদার্থ দেন দাবি কৃষক জয়নালের পরিবারের।
- পূর্ব বিরোধের জেরে খাবারে বিষ মেশানোর অভিযোগ
- প্রথমবার বাড়ি ফেরার পর ফের অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে
এদিকে রাত ৮টার দিকে পরিবারের সবাই মিলে রাতের খাবার খাওয়ার আধাঘণ্টার মধ্যে একে একে ৮ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রবিবার একটু সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ায় সোমবার দুপুরে আবার হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন তারা।
এদিকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগের জানতে সুম্রাট মাতুব্বরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার ভাবি রুমা বেগম বলেন, ‘রাতের আঁধারে কে বা কারা খাবারে বিষ দিয়েছেন, তা একমাত্র আল্লাহই বলতে পারবেন। যারা খাবারে বিষ দেওয়ার কথা বলছেন, তারাও তো আমাদের আত্মীয়।’
গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠোর বিচার দাবি করছি।’
সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘খাবারে বিষ প্রয়োগের অভিযোগে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত দেয়নি।’
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, ‘ঘটনাটি জানা নেই। তারপরও বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।’