দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
দশমিনায় অভিযোগ
জামিন পাওয়ায় আদালত চত্বরে স্ত্রীকে মারধর
পটুয়াখালীর দশমিনায় মামলায় হেরে আদালত চত্বরে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার (৩০ জুন) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারীর নাম মোসা. রুনালায়লা। তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কাশেম আলী শিকদারের মেয়ে এবং অভিযুক্ত পটুয়াখালীর দশমিনা সদর ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের স্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২ বছর আগে মিজানুর রহমান এর সঙ্গে রুনার বিয়ে হয়।বিবাহ হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে বোনাবোনি হচ্ছিল না । মিজানুর তার স্ত্রীর রুনার বিরুদ্ধে দশমিনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ লাখ টাকা আত্নসাতের মামলা করেন।
পরবর্তীতে রবিবার সকালে আদালতে হাজির হয়ে জামিনে মুক্ত হবার পর আদালতের সামনের রাস্তায় রুনাকে আপত্তিকর ভাষায় গালমন্দ করেন মিজানুর। এর প্রতিবাদ করলে রুনাকে বেধড়ক মারধর করে আহত করেন মিজানুর।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী রুনালায়লা বলেন, বিয়ের পর থেকে তাকে বারবার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে তার স্বামী মিজানুর। তিনি টাকা না আনলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। পরে তিনি বাবার বাড়ি চলে যান। কিছু দিন পর তার বিরুদ্ধে আদালত থেকে নোটিশ যায়। রবিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান তিনি। আদালতের সামনের রাস্তায় এলে মিজানুর তাকে আপত্তিকর ভাষায় গালমন্দ করে। তিনি এর প্রতিবাদ করলে তাকে রাস্তায় মারধর করে। পরে তিনি প্রাণ বাচাঁতে একটি উকিলের চেম্বারে উঠলে সেখানেও মারধর করে মিজানুর। তিনি তার উকিলকে জানিয়ে আদালতে বিচার প্রার্থনা করবেন বলে জানান।
রুনালায়লার আইনজীবী সহিদুল ইসলাম বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে মহামান্য বিচারক বিষয়টি দেখবেন। তার মক্কেল জামিনে মুক্ত হওয়ার পর রাস্তায় প্রকাশ্যে মরাধর করে আহত করেছে। বিষয়টি দুঃখজনক। আমি আদালতের স্মরণাপন্ন হব।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন, ‘যা দেখার তো দেখছেনই আর কি বলব?’ এই কথা বলে তিনি চলে যান।
পিডিএস/আরডি