রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী
ক্লিনিকের ভবন ঝুকিপূর্ণ, অন্যের বাড়িতে স্বাস্থ্যসেবা
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত বন্দবেড় ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের গ্রামীণ জনপদের প্রায় ৩০ হাজার সাধারণ মানুষ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির বাড়ি থেকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সমন্বয় সভায় আলোচনাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৯ জুন) উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের কুটিরচর কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনের মূল ফটকে ঝুঁলছে তালা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করায় কিছু দিনের মধ্যেই মাটির নিচে কিছু অংশ ডেবে যায়। ভবনের ছাদ থেকেও বৃষ্টির পানি চুয়ে পড়ে। এ ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) আনোয়ার হোসেন ভবনের ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেনের বাড়ি থেকে ঢিলেঢালা ভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন। তবে তার সহযোগী স্বাস্থ্য সহকারি (এইচএ), পরিবার পরিকল্পনা সহকারি (এফডব্লিউ এ) কর্মরত দুইজনই অনুপস্থিত থাকেন।
জানা গেছে, বন্দবেড় ইউনিয়নের চরবন্দবেড় (কুটিরচর) গ্রামে ১৯৯৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকটি স্থাপিত হয়। এখানে ৩টি ওয়ার্ডেও চরবন্দবেড়, ফলুয়ার চর, কুটির চর, খানপাড়া, বন্দবেড় গ্রামসহ ১৫ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চিকিৎসা নেন।
বন্দবেড় গ্রামের সাজেদা বেগম বলেন, পাকা ঘর থাইকা সব ওষুধ চেয়ারম্যানের বাড়িত নিছে। ওডাই থেকে আমাদের ওষুধ দেয়। ঝড়ি হলে বিল্ডিংয়ের ভিতর পানি পড়ে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বরত সিএইচসিপি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ক্লিনিক শুক্রবার সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই খোলা থাকে। তবে অন্যের বাড়ি থেকে সেবা প্রদান করা হয়। ক্লিনিকের ভবনটি নির্মাণের পরেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবগত করা হলে, তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আক্কাছ আলী বলেন, ভবনটি নতুন করে নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জানান, এটা একটা বড় সমস্যা। এ বিষয়ে উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান জানান, ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া বড় সমস্যা হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।