সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
সৈয়দপুরে
ইউটিউবে দেখে চায়না কমলা চাষ, আতাউরের সাফল্য
গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে চায়না কমলা। বিদেশের কোনো ফলের বাগান মনে হলেও এটি হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার উত্তর সোনাখুলি ধনী পাড়া গ্রামে অবস্থিত। ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান বাড়ির পাশে ৩০ শতাংশ জমিতে মাটি ভরাট করে গাছ লাগিয়ে পর্যাপ্ত ফলন হওয়ায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। গত ৩ বছরে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবছর লক্ষাধিক টাকার ফল বিক্রি করে আসছেন।
বাবা মিজানুর রহমান জানান, ২০১৯ সালে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৬০টি ছোট গাছ সংগ্রহ করে বাড়ির পাশে ৩০ শতাংশ জমিতে মাটি ভরাট করে চারা রোপন করে। প্রায় ২ বছর পরিচর্যা করে গত ২০২১ সাল থেকে ফলন শুরু হয়। প্রথম বছর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেন। ২০২২ সালে দেড় লাখ ও ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত ১ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেছেন। আগামী ২ মাসে আরো প্রায় ২ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান।
মিজানুর আরো জানান, আরো প্রায় ১ বিঘা জমিতে ১০৫টি গাছ লাগিয়েছে। নতুন গাছগুলোয় ফল ধরা শুরু হলে আগামীতে প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
আতাউর রহমান জানান, বাবার জমি জায়গা আছে, কিন্তু তিনি ছিলেন বেকার। ২০১৯ সালে ইউটিউবে দেখেই আগ্রহ জাগে তার। পরে চুয়াডাঙ্গা থেকে চারা এনে ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত মাটি, সার ও ওষুধ দিয়ে বাগানটি তৈরি করা হয়। কমলা বাগান করে তিনি সার্থক হয়েছেন বলে জানান।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় এ বিষয়ে বলেন, সৈয়দপুরে কমলার বাগান এটি আসলেই খুশি ও আনন্দের। তিনি আতাউরকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলেও জানান তিনি।
পিডিএস/আরডি