নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন

নাটোর সদর উপজেলায় ১৩ বছর আগে এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে বেলাল হোসেন (৩৭) ও তার স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে (২৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এক সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত বেলাল হোসেন সদর উপজেলার উলুপুর এলাকার বাসিন্দা, তার স্ত্রী জেসমিন বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। বেলাল ঘটনার পর থেকে পলাতক।
স্পেশাল কোর্টের পিপি আনিসুর রহমান ও মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি সকালে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় একটি আম বাগানে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জব্দ আলামতে পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও একটি নোটবুক পাওয়ায় সন্দেহভাজন হিসেবে জেসমিন খাতুনকে আটক করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকে বেলাল হোসেন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্ততার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় নাটোর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান বাদী হয়ে জেসমিন ও তার স্বামী বেলাল হোসেনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
দীর্ঘ ১৩ বছর পরে মামলার স্বাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বেলাল হোসেনের অনুপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন। অজ্ঞাতনামা পরিচয়ের নারীকে ধর্ষণ ও হত্যায় স্বামী বেলাল হোসেনকে সহযোগিতা করায় স্ত্রী জেসমিনের উপস্থিতিতে উভয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। জরিমানার অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
স্পেশাল কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, যেহেতু নিহত নারীর নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি এবং পুলিশ বাদি হওয়ায় জরিমানার অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে।
পিডিএস/আরডি