টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলে লাইনচ্যুত
৯ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ টাঙ্গাইলে লাইনচ্যুত হওয়ার ৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার কাজ শেষ হয় হয়েছে। ফলে দুপুর ২টা থেকে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়ে আসে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের আগবেতর তারাবাড়ি এলাকায় রংপুর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সঙ্গের মালবাহী একটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এদিকে উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত হওয়ার আগে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন লাইনের রেল স্টেশনে পাঁচটি ট্রেন আটকে পড়ে। চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পর আটকে থাকা ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে রওনা হয়।
এতে কেউ হতাহত হননি। তবে এতে দুই কিলোমিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী একটি রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। পরে যান্ত্রিকত্রুটির কারণে রিলিফ ট্রেনটিও বিকল হলে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে উদ্ধার কাজ চালান কর্মীরা।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন মাস্টার (বুকিং) রেজাউল করিম বলেন, টাঙ্গাইলের তারাবাড়ি এলাকায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশনে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস, সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ও জামতৈল স্টেশনে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়ে। এ ছাড়া মির্জাপুরের মহেড়ায় উত্তরবঙ্গগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস এবং নীলসাগর এক্সপ্রেস মির্জাপুর স্টেশনে আটকা পড়ে।
টাঙ্গাইল ঘারিন্দা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নাজমুল হুদা বকুল জানান, টাঙ্গাইলের তারাবাড়ি এলাকায় লাইনচ্যুত বগিটিতে যাত্রীদের মালামাল ছিল। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনের যাত্রীদের টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানো হয়। এছাড়া কিছু যাত্রী যাত্রীবাহী বাসে করে তাদের গন্তব্যে চলে যান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘১৬টি বগির মধ্যে ১টি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। প্রাথমিকভাবে এটাকে নাশকতা মনে হচ্ছে না। রেলের উদ্ধারকারীদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে।’
পিডিএস/আরডি