নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
নাইক্ষ্যংছড়িতে দুদিনে ১০০ জনের প্রত্যাবর্তন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় কেএনএফের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বিভিন্ন বিষয়ে গত ৫ নভেম্বর সমঝোতার পর গত ২ দিনে (শনি ও রবিবার) ৩৫টি পরিবারের ১০০ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য নিজ পাড়াতে ফিরে এসেছেন। এই পরিবারগুলো চলতি বছরের এপ্রিল থেকে কেএনএফ সদস্যদের অত্যাচারে আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে পাইন্দু ইউনিয়নের পাইক্ষ্যংপাড়া, প্রাতা পাড়া থেকে উপজেলা সদরে, বনজঙ্গল ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।
রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেলাউ মার্মা জানান, পাইক্ষ্যংপাড়া থেকে ৪০ টি পরিবার তাদের সন্তানসন্ততি নিয়ে পাড়া হতে পালিয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে শান্তি আলোচনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতির কারণে তাদের মধ্যে নিরাপত্তার ব্যাপারে আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পাওয়াতে তারা নিজ ভূমিতে ফিরতে শুরু করেছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হওয়ার কারণে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. শাহীনুর হকের অনুমতিতে পাড়াবাসীদের বাকলাই সেনা ক্যাম্প, ১৬ ইস্ট বেঙ্গল নিজেদের ইস্যু করা রশদ থেকে ফেরত আসা সব পরিবারের সদস্যকে ওষুধ, চাল, ডাল, তেল, লবণ, ময়দা, চিনি ও শুকনা খাবার দেওয়াসহ নানা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ায় আশপাশের পাড়া থেকে পালিয়ে যাওয়া পরিবারগুলো নিজ বাসভূমে ফিরতে শুরু করেছে।
রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, কেএনএফের অত্যাচারে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসন থেকেও সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। ফিরে আসা বাসিন্দারা জানান, গত বছরের কেএনএফ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমস্যার কারণে তারা ৯ মাস বনজঙ্গলে ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। নিজ বাড়িতে ফিরতে পেরে তারা নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন। তারা নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ।
পিডিএস/জেডকে