আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ২০ নভেম্বর, ২০২৩

৩৮ বছরে হয়নি সংস্কার, ঝুঁকি নিয়ে চলে সেবাদান

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

বরগুনার আমতলীতে নির্মাণের ৩৮ বছর ধরে সংস্কার হয়নি উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। একই অবস্থা আবাসিক ভবনেরও। দীর্ঘদিন ধরে ভবন দুটি সংস্কার না করায় ছাদের পলেস্তারার খসে পড়েছে। ভয়ে এখন আর কেউ ভিতরে বসে চিকিৎসা সেবা নিতে চান না।

আমতলী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম মাহবুবুর রহমান ঝন্টু তালুকদারের দানে ৫ কক্ষের একটি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র ও ৬ কক্ষের একটি আবাসিক একতলা ভবন নির্মাণ হয়। ভবন নির্মাণের পর এ পর্যন্ত আর কোনো সংস্কার না করায় ভবন দুটি বেহাল হয়ে পড়েছে। চিকিৎসা দেওয়া ভবনটির ছাদের পলেস্তারার খসে পড়ায় বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুয়ে পানি পড়ে মেঝ তলিয়ে যায়। দেয়ালের পলেস্তারার উঠে ইট বেড়িয়ে গেছে। কাঠের দরজা জানালা খুলে পরেছে। ছাদের পলেস্তারার খসে পড়ে সম্প্রতি সময়ে এক রোগি আহত হওয়ায় এখন স্যাকমো এবং ভিজিটর ভিতরে বসে চিকিৎসা সেবা দিতে ভয় পাচ্ছেন। রোগিরাও ভিতরে প্রবেশ করতে চান না। চেয়ার টেবিলের ও করুন অবস্থা। ছয় কক্ষের আবাসিক ভবনটিও বেহাল হওয়ায় এখানে এখন কেউ বসবাস করেন না। ছাদের এবং দেয়ালের পলেস্তারার খসে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে পানিতে ভবনের ভেতরে অংশ তলিয়ে যায়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভবন দুটি সংস্কারের অভাবে চিকিৎসা কেন্দ্রের ছাদের এবং দেয়ালের পলেস্তারার খসে পড়েছে। কাঠের দরজা জানালা নেই বললেই চলে। ডাক্তার, স্যাকমো, ভিজিটর ও পিয়নের বসার মতো ভালো চেয়ার টেবিলও নেই। রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে দাড়িয়ে থাকতে হয়। আবাসিক ভবনেরও একই অবস্থা।

দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন মোল্লা জানান, হলদিয়া ইউনিয়নবাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে এই কেন্দ্রটি। গ্রামে বসেই বয়স্ক নারী এবং পুরুষরা ডাক্তার দেখাতে পারে। তাই এটি জরুরী ভাবে সংস্কার করা প্রয়োজন।

একই গ্রামের ষাটোর্ধ আলেয়া বেগম বলেন, ‘মোরা ডাক্তার দেহাইতে যাইয়া বইতে পারি না। চেয়ার টেবিল নাই। দালাডা এক্কেবাড়ে খারাপ অইয়া গ্যাছে। বইষ্যা কালে খালি পানি পরে। দরজা জানালাও খুইল্যা পড়ছে। হেইয়ার লইগ্যা এই হানে আইলে খালি ডর করে।’

হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে কর্মরত স্যাকমো অনুজ রায় জানান, সংস্কারের অভাবে ঠিকমত চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায় না। ভয়ের মধ্যে থাকি কখন আবার পলেস্তারার খসে মাথায় পরে। আবাসিক ভবনেরও একই অবস্থা।

আমতলী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, ওই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র ও আবাসিক ভবন সংস্কারের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বরগুনার আমতলী,হাসপাতাল ভবন সংস্কার
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close