রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কর্মমুখর রাজারহটে তিস্তার চরাঞ্চল
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীতে জেগে উঠা চরের আয়তন বাড়ছে। এতে নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমলেও উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে তিস্তার বুকে চর গুলোতে আবাদ বেড়েছে কয়েকগুণ। কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে তিস্তার চর গুলো।
জানা গেছে, গত বর্ষা মৌসুমে কয়েক দফা বন্যার ফলে চর গুলোতে যে পলি মাটির স্তর পরেছে তা এই এলাকার কৃষি ও কৃষকের জন্য আশির্বাদ বয়ে এনেছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায় নদীর বুকে চাষ করা হয়েছে ভুট্রা, আলু, ধান, কাঁচা মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন, মিষ্টি কুমড়া, লালশাক সহ নানা ধরনের রবি শস্য। পাশাপাশি গম, ছোলা, মসুর, সরিষা ও বাদাম চাষের প্রস্তুতি চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শুধু চরাঞ্চল নয় উপজেলার দুর্গারাম, দুর্গাচরন, মীরেরবাড়ি, চতুরা, বিদ্যানন্দ, সরিশাবাড়ি, ফুঁলখার চাকলা, সুইদির দোলা সহ বিভিন্ন এলাকায় শীতের আগাম সবজি চাষে কৃষকের ব্যস্ততা দেখা গেছে।
চরের কৃষকেরা জানান, বন্যার পর চরের মাটিতে পলি জমে এই কারণে সার খুব একটা লাগে না। পোকা মাকড়ের আক্রমন কম হওয়ায় কীটনাশকের ব্যবহার অনেক কম। তাই ফসল উৎপাদন খরচ তুলনামুলক কম হলেও এবারে পরিস্থিতি ভিন্ন। প্রতিটি কৃষি উপকরনের দাম আকাশচুম্বি, তার পরেও লাভের আশায় আবাদ করছেন তারা।
গাবুর হেলান চরের কৃষক আবু বক্কর বলেন, এই মৌসুমে প্রায় দুই একরে আগাম আলু করেছি, আলু তোলার পর ওই জমি তে বাদাম ও পিঁয়াজ চাষ করব।
রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুন নাহার সাথি বলেন, বন্যার পানির সঙ্গে যে পলিমাটি এসেছে তা ফসল চাষের জন্য খুবই উপকারী এতে চরাঞ্চলের কৃষক লাভবান হচ্ছেন। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে এবারে শুধু চরের কৃষক নয় গোটা উপজেলার অধিক সংখ্যক কৃষককে প্রনোদনার আওতায় এনেছি।
পিডিএস/এস