শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
পতিত জমিতে বেড়েছে তিল চাষ, ভালো ফলনের আশা
অল্প শ্রমে ও কম খরচে সব ধরনের মাটিতে উৎপাদন হওয়ায় তিল চাষে আগ্রহ বেড়েছে বগুড়ার শিবগঞ্জের কৃষকদের। ভোজ্য তেল হিসাবে তিলের চাহিদা বেড়েছে। তিল থেকে তৈরি নাড়ু, খাজা, মোয়া ও নানা মুখরোচক খাবারও জনপ্রিয়। পাশাপাশি প্রসাধনী শিল্পে তিল তেল ব্যবহার হচ্ছে। সব মিলিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ৩ হেক্টর জমিতে তিল চাষ হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়া কৃষি বøকের গুজিয়া-মেদিনীপাড়া রাস্তায় পাশে পতিত জায়গা ও জমির আইলে তিল গাছ শোভা পাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তিল চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিন আলম। জানা গেছে, তাদের উৎসাহ পেয়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা মোয়াজ্জেম, আবুল, লুৎফর, নান্নু সহ কয়েকজন কৃষক তিল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এবং তাদের পতিত জমি ও জমির আইলে তিল চাষ করেন। শুধু গুজিয়া কৃষি বøকই নয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে পতিত জমি ও জমির আইলে রাস্তার ধারে তিলের চাষ করেছেন কৃষকরা।
মেদিনীপাড়া গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, তিল চাষে সার ও কীটনাশক লাগে না বললেই চলে। গরু-ছাগলে তিল তেমন একটা খায় না, তাই রক্ষণাবেক্ষণে খরচ হয় না। তিল চাষে উৎসাহ দেওয়ায় তারা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও শাহিন আলমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও শাহিন আলম জানান, তিল চাষের জন্য আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিয়েছিলেন তারা। কৃষকরা পরামর্শ গ্রহণ করে তিল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। কম খরচে অল্প সময়ে ভালো ফলন হওয়ায় তাদের এ চাষে আগ্রহ বেড়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মুজাহিদ সরকার বলেন, তিল থেকে তৈরি খাবারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উপজেলায় মোট ৩ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ হয়েছে। পুরো উপজেলায় বিক্ষিপ্তভাবে তিলের চাষ হচ্ছে। আগামীতে কৃষকদেরকে সরকারিভাবে প্রদর্শনী দিয়ে বীজ ও সার প্রদান করে তিল চাষে সহযোগীতা করা হবে। ভাল ফলন দেখে এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও তিল চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
পিডিএস/এস