অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
গাছ ফড়িংয়ের আক্রমনে কম আমন উৎপাদনের শংকা
যশোরের অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌর এলাকার আমন ধানে বাদামি গাছ ফড়িংয়ের আক্রমন শুরু হয়েছে। এতে চাষিদের প্রায় পাঁচ হেক্টর জমির ধানগাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এবার অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌর এলাকার ৭ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ৫ হেক্টর জমির ধানগাছ ‘কারেন্ট পোকা’ আক্রামনের শিকার হয়েছে।
জানা গেছে, পোকাটির আক্ষরিক নাম বাদামি গাছ ফড়িং। কৃষকের ভাষায় ‘ধানের কারেন্ট পোকা’। পোকাটি প্রথমে ধানগাছের নিচের অংশে অবস্থান করে প্রথমে রস চুষে খায়। পরে ধানগাছ লাল বা পোড়া বাদামি রঙের হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। বাগুটিয়া এলাকার প্রদ্বিপ শীল বলেন, দেড় বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। এর মধ্যে বাদামি গাছ ফড়িংয়ের আক্রমনে ২৫ শতক জমির আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। কমপক্ষে ১২-১৩ মন ধান পেতাম। পোকার আক্রমনে সেখানে মাত্র আড়াই মন ধান পেয়েছি।
কৃষকরা জানান, কারেন্ট পোকার আক্রমনে এবার ধানের উৎপাদন কম হবে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক লিফলেট ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও কেনো কাজ হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনার দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্ত আমন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, মাঝ খানে অতি বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার পরপরেই কারেন্ট পোকার (বাদামি গাছ ফড়িং) আক্রমনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় আমন চাষিদের পরার্মশ দিয়েছিলাম লোগো মেনে চলা। অর্থাৎ ধান গাছ রোপনের সময় দশ লাইন পর পর এক লাইন ছেড়ে দেয়া। কিন্ত কৃষকার তাদের মত করেই ধানগাছ রোপন করেন। কারেন্ট পোকার সম্ভাবনা যখন দেখা দেয় তখনি কৃষকদের সচেতন করা হয়েছে। ইতোপূর্বে ধান রক্ষার জন্য কৃষকদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরন করা হয়েছে। আক্রান্ত জমিতে বালাই নাশক স্প্রে করাসহ বিভিন্ন পরার্মশ দেয়া হয়েছে। কিন্ত কৃষকরা না শুনে গাছের উপরের অংশে বালাই নাশক স্প্রে করছেন। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে প্রণোদনার আওতায় অন্তর্ভূক্ত করণের প্রক্রিয়া চলছে।
পিডিএস/এস