এম বুরহান উদ্দীন, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ)
শৈলকুপায়
গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি ‘হত্যা’

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রিক্তা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের নতুন ধাওড়া গ্রাম থেকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
রিক্তা খাতুন উপজেলার হাটফাজিলপুর গ্রামের রুস্তম মোল্লার মেয়ে ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের নতুন ধাওড়া গ্রামের সাগর মোল্লার স্ত্রী। ২০১৮ সালে সাগর মোল্লার সঙ্গে রিক্তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি সন্তান আছে।
গৃহবধূর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য রিক্তাকে শারীরিকভাবে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করেছে সাগর মোল্লা। সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় রোজিনা খাতুন এক নারীকে তিনি গোপনে বিয়ে করেন। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা জানার পর মোটা অঙ্কের টাকা তাকে দিয়ে ডির্ভোস দেন সাগর। এর কয়েক মাস পরে আবারও তাকে বিবাহ করে তিনি। ওই ঘটনা কেন্দ্র করে প্রথম স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেন সাগর। সোমবার দুপুরে রিক্তাকে মারধর করা হলে হত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
রিক্তার ফুফাতো ভাই সোহাগ লস্কার বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী সাগর মোল্লা যৌতুকের দাবিতে তাকে বিভিন্ন সময় মারধরসহ নির্যাতন করত। বুধবার সকালে খবর পেলাম, রিক্তা আত্মহত্যা করেছে। আসলে রিক্তাকে তার স্বামী রাতে হত্যা করে পাশে একটা ঘরের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকায় প্রচার করেছে।’
স্বামী সাগর মোল্লা বলেন, ‘রাতে দুই সন্তান নিয়ে স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোরে জেগে দেখি সে বিছানায় নেই। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাশের একটি ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশ্মি দেওয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করি।’
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঠাকুরদাস মন্ডল বলেন, ‘গৃহবধূ রিক্তার লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা, না কি আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’
পিডিএস/আরডি