ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সাপ্তাহিক কাতিহার হাটে সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের অতিরিক্ত মূল্যে আলু ও পেয়াজ বিক্রি হয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার তদারকির অভাবেই দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে ফড়িয়া ও খুচরা বিক্রেতারা। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত দরে আলু পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কি না, তা তদারকির জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, আলু পাইকারী বিক্রি সর্বোচ্চ ২৬-২৭ টাকা ও খুচরা ৩৫-৩৬ টাকা, পেঁয়াজ পাইকারী বিক্রি ৫৩-৫৪ টাকা ও খুচরা ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

শনিবার (১ অক্টোবর) সাপ্তাহিক কাতিহার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, খুচরা বিক্রেতারা দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি ও হাইব্রিড (চালানি পেঁয়াজ) ৭০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন। এ দিকে দেশী আলু ৫০ টাকা, কার্ডিনাল আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খুচরা বিক্রেতা বলেন, সরকার খুচরা বিক্রির জন্য যে দাম নির্ধারণ করছে তার থেকেও বেশি দামে পাইকারী কিনতে হচ্ছে। তাই পাইকারী বিক্রেতাদের প্রতি নজরদারী দিলেই আলু পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে বলে দাবি তাদের।

কাতিহার বাজারের আলু ক্রেতা সাব্বির আলী বলেন, ‘সাপ্তাহিক হাটে বাজার করতে আসি কম দাম পাব বলে। অথচ এখানে এসে দেখেন সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে আলু, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।’ তিনি দুই কেজি আলু ১০০ টাকায় ক্রয় করেছেন বলে জানান।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান বলেন, ‘উপজেলায় বাজার তদারকি রয়েছে। সাপ্তাহিক কাতিহার হাটেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।’

পিডিএস/আরডি