reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০১ অক্টোবর, ২০২৩

পাবনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৮

ছবি : সংগৃহীত

পূর্ববিরোধ আর আধিপত্য বিস্তারের জেরে পাবনা শহরে ছাত্রলীগের একপক্ষের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে আরেকপক্ষ। এতে অন্তত আটজন গুলিবিদ্ধসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত দশটার দিকে শহরের মাসুম বাজার এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

আহত নেতাকর্মী ও পুলিশ জানায়, সম্প্রতি পাবনা মহিলা কলেজের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে কিছুদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল।

শনিবার রাত ১০টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান তার সমর্থকদের নিয়ে বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, পথিমধ্যে মাসুম বাজারে পৌঁছামাত্র তাদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে সিফাত ও তার সমর্থকরা। এতে আটজন গুলিবিদ্ধ ও তিনজন ছুরিকাঘাতে আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাহত সজিব নামের ছাত্রলীগকর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। ঘটনার পর থেকে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে ৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- রাফি, আরাফাত, মিলন, রিহাব, আকাশ, সজিব, শান্ত, রঞ্জু, তানজীদ। এরা সবাই মেহেদী হাসানের সমর্থক, ছাত্রলীগের কর্মী। আহতদের মধ্যে সজিব গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাহত এবং রঞ্জু ছুরিকাহত হয়েছেন। বাকিরা সবাই গুলিবিদ্ধ।

মেহেদী হাসান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজের এবং ইফতে আরাফাত সিফাত জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাফিউল ইসলাম সীমান্তের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মেহেদী হাসান লোকজন নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে যাওয়ার সময় সিফাত গ্রুপের লোকজন গুলি করে। এতে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘সিফাতের লোকজন মেহেদীর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। তাদের মধ্যে আগে থেকেই ঝামেলা চলছিল। আমরা বারবার গিয়ে সমাধান করলেও কয়েক দিন পর আবারও তারা ঝামেলায় জড়িয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, শনিবার রাত দশটা থেকে সোয়া দশটার দিকে পার্টি অফিসে যাবার সময় সিফাত তার লোকজন নিয়ে আমাদের মোটরসাইকেল বহরের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। এতে আমার পক্ষের লোকজন গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাহত হয়েছে। সিফাতের এত অস্ত্র আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উৎস কোথায় তা খতিয়ে দেখে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

তবে আগে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে পাবনা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত বলেন, আমি আমার অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলাম। এসময় হঠাৎ ২০-৩০ জন লোক নিয়ে মেহেদী আমার ওপর হামলা করে গুলি করে। এতে আমি কোনো মতে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আধিপত্য বিস্তার,ছাত্রলীগ,রাজশাহী মেডিকেল কলেজ,পাবনা মহিলা কলেজ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close