ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শৈলকুপার জিকে সেতু
সেতু ভেঙে আছে ৫ মাস ৫ কিমি ঘুরে যাতায়াত

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দীর্ঘ ৫ মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে জিকে সেচ প্রকল্পের সেতুটি। এর মধ্যে সংস্কার করার জন্য অনেকবার জানানো হলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ। ফলে দুর্ভোগে আছে প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ।
বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ভেঙে যাওয়া সেতুর স্থানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। পাউবো কর্মকর্তা বলেছেন, বরাদ্দ পেলে সেতুটি সংস্কার করা হবে।
এদিকে চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র পথে অবস্থিত জিকে সেচ প্রকল্পের সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী সাধুহাটি, নাগপাড়া, হরিহরাসহ প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ ওই সেতুটি পার হয়ে খুলুমবাড়িয়া বাজারে যায়। তা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্যাংক ও কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য যাতায়াতেও সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ।
- সংস্কারের দাবি জানিয়েও উদ্যোগ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
- বরাদ্দ না আসা পর্যন্ত কাজ সম্ভব নয় বলছেন পাউবো কর্মকর্তা।
- যাতায়াতের দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন প্রায় ৩০ গ্রামের বাসিন্দা।
শৈলকুপা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের মানুষের চলাচলের কথা চিন্তা করে জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় গত শতকের ষাটের দশকে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। এই সেতু দিয়ে ঝিনাইদহ ছাড়াও কুষ্টিয়া ও রাজবাড়ি জেলার মানুষের চলাচলের সহজ মাধ্যম।
স্থানীয় বাসিন্দা সজিবুল ইসলাম সজিব জানান, জিকে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি যাতায়াত করতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
খুলুমবাড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী শিহাব উদ্দিন জানান, মানুষজন নিয়মিত বাজারে আসতে না পারায় ব্যবসা অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছে। উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু জানান, এলাকার মানুষ দুর্ভোগে আছে বলে বাঁশের সাঁকো দিয়ে আপাত চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
ঝিনাইদহ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বললেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যদি বরাদ্দ আসে, তাহলে কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
পিডিএস/আরডি