এম এ লিতু, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ

ভালোবাসায় পোষ মেনেছে শত শত শালিক পাখি 

কালীগঞ্জের বেথুলী গ্রামে রুটি বা বিস্কুটের অংশ ছিটিয়ে পরম মমতায় শালিক পাখিদের খাওয়াচ্ছেন বৈদ্যুতিক মিস্ত্রী মো. মুজাম।-প্রতিদিনের সংবাদ

ভোরের আলো ফুটতেই শত শত শালিক পাখি খাবারের জন্য অপেক্ষা করছে। আর সেই অপেক্ষারত শালিক পাখিদের জন্য প্রতিদিন দোকান থেকে কেনা রুটি বা বিস্কুটের অংশ ছিটিয়ে পরম মমতায় খাওয়াচ্ছেন বৈদ্যুতিক মিস্ত্রী মো. মুজাম। এমনই ঘটনা প্রতিনিয়ত দেখা যায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেথুলী গ্রামে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহর থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে বেথুলী গ্রামের অবস্থান। ভোরের আলো ফুটতেই বেথুলী গ্রামের ছোট এ বাজারে প্রতিদিন শত শত পাখি অপেক্ষা করে কখন মো. মুজাম খাবার নিয়ে আসবেন। এ গ্রামের বাসিন্দা বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মো. মুজাম প্রতিদিন ফজর নামাজ শেষ করে শালিক পাখিদের পরম মমতায় খাওয়ান। ভালোবাসা আর স্নেহের কমতি না থাকায় মাত্র ১ মাসেই যেন শালিক পাখিদের বড় বন্ধু হয়ে গেছেন মুজাম। মুজামও তাদের খেতে দিতে না পারলে থাকতে পারেন না এখন। তাই প্রতিদিন প্রস্তুতি রাখেন, পরের দিন পাখিদের কি খাওয়াবেন।

মুজামের এ মহৎ কাজকে এখন উপভোগ করা শুরু করেছেন তারই এলাকার মানুষজন। খুব সকালে বাজারে আসা রেজাউল করিম বলেন, আমি প্রতিদিন বটতলা বেথুলী বাজারে ফযরের নামাজ পর চা খেতে আসি। মুজাম প্রতিদিন শালিক পাখিদের খেতে দেয়, এটা দেখতে বেশ ভালো লাগে। অনেকে পাখিগুলোকে দেখতে দূর থেকেও আসেন। তেমনি এক ব্যক্তি শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে বেথুল গ্রামে আসি পাখিগুলো দেখতে পাখিদের প্রতিনিয়ত খাবার দেওয়ার ব্যাপারে মো. মুজাম বলেন, শালিক পাখিদের খাওয়ায় এক মাস প্রায়। ভোরবেলা নামাজ পড়ে এসে পাখিদের খাওয়াই। কোনো উদ্দেশ্য নেই, ভালো লাগে তাই খেতে দিই।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ,পাখি,শালিক
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close