দশমিনা ও মাগুরা প্রতিনিধি

  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

‘দেখতে মন চায়’ বলে বাবাকে বাড়ি এনে আত্মঘাতী মেয়ে

ছবি: প্রতীকী

আগের দিন মায়ের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পর থেকেই ‘বাবাকে দেখতে মন চায়’ বলে মো. কামাল হোসেনকে ঢাকা থেকে বাড়িতে আনে স্কুলছাত্রী শেফা (১৬)। দুপুরে পরিবারের সবাই এক সঙ্গে খাবারও খায়। তবে সন্ধ্যা বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে নিজের কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেয় সে।

গত বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে শেফার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এদিকে, মাগুরা সাতদোহা এলাকার নবগঙ্গা নদী থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নদীতে ওই মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।

পটুয়াখালীর দশমিনা প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার চরহোসনাবাদ গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে শেফা নামে স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে উপজেলার আরোজবেগী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাপুরিয়াকাচারি গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে। চলতি বছরে দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছে সে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে মায়ের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি জেরে শেফার গায়ে হাত তোলা হয়। এরপর থেকেই বাবাকে দেখতে মনচায় বলে ফোন করে ঢাকা থেকে কামাল হোসেনকে বাড়িতে আসতে বলে। সন্ধ্যায় তার কক্ষে ঢুকে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করেন তার মা। পরে পরিবারের সদস্যরা ওড়না কেটে মেঝেতে নামালেও তাকে জীবিত পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

শেফার বাবা কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার এক মেয়ে এক ছেলে। তাদের সুশিক্ষা দেওয়ার জন্য দূর্গম গ্রাম থেকে এসে চরহোসনাবাদ একটি বাসায় ৭-৮ বছর ভাড়া থাকি। গতকাল (বুধবার) শেফা ফোনে বলেÑ তোমাকে দেখতে মন চায়, তুমি আজই আসো। ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাসায় এসে পৌঁছাই। দুপুরে একসঙ্গে পরিবারের সবাই খাবার খাই। পরে আমি বাজারে গেলে সন্ধ্যায় ফোন করে জানানো হয়, শেফা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করছে।’ বুধবার শেফাকে বাগবিতণ্ডার জেরে তার মা মারধর করছে বলে শুনেছেন তিনি। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, শেফার মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়।

এদিকে, মাগুরা প্রতিনিধি জানান, স্থানীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে নদী থেকে অজ্ঞাতনামা পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর হবে। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে মরদেহ পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ ও পরিচয় উদ্ধারের জন্য কাজ করছে পুলিশের একাধিক দল।

জেডকে/পিডিএস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
লাশ,মেয়ে,আত্মঘাতী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close