সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ : আরও একজনের মৃত্যু

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে ট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে আহত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫। এই দুর্ঘটনায় দুই চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের ইজাজুল বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। ইজাজুলের বাবা ওই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি শামসুদ্দোহা।
তিনি জানান, ১৫ জন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় পিকআপ ও ট্রাকচালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তারা পলাতক। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ গাড়ির নম্বর দিয়ে মালিকের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, এ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বাদশা মিয়া নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বাদশা মিয়া দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মায়েদ নুরের ছেলে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫।
এর আগে বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া পিকআপে প্রায় ৩০ জন নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছলে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মালবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও ৩ জন। বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের বেশিরভাগ সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তারা সবাই নির্মাণ শ্রমিক। দৈনিক মজুরীতে তারা বাসার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করতেন। বুধবার ভোরেও তারা একটি বাসার ঢালাইকাজের জন্য সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২০ হাজার এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেন।