তিন বছর আগে লাগানো হয়েছিল আম গাছের কলম করা চারা। সেই গাছে এখন ধরেছে থোকায় থোকায় বড় বড় আম। একাধিক চারা গাছে ঝুলছে দৃষ্টিনন্দন সূর্যডিম্ব নামে খ্যাত দামি রঙিন আম। এমন দৃশ্য চট্টগ্রাম-৬ রাউজান নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বাড়ির আঙ্গীনাসহ উপজেলা পরিষদের সামনের চত্বরে। এই দুটি স্থানে সাংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী নিজের হাতে তিন বছর আগে লাগিয়েছিলেন এই আমের কলম করা চারা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ সিকদার বলেছেন তার কার্যালয়ের সামনে লাগানো সূর্যডিম্ব আমের কলমগুলোর লাগানো হয়েছিল দুবছর আগে। নিয়মিত পরিচর্যায় প্রতিটি গাছে চার পাঁচটা করে আম ধরেছে। রঙিন আমগুলো এখন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তবে আমগুলোতে হাত দিতে নিষেধ রয়েছে। রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বিশাল বাড়ির আঙ্গীনায় সারি সারি গাছে ঝুলছে বড় বড় আম। অন্তত ২০-২২টি গাছে ঝুলছে রঙিন আম। এগুলো দেখতে রঙ্গিন সূর্যডিম্ব আম।

এখানে দেখা গেছে বেশির ভাগ গাছে পাঁচ সাতটি করে ধরেছে বড় জাতের আম। জানা যায়, গত তিন বছর আগে এসব আমের কলম সংসদ সদস্য নিজের হাতে লাগিয়েছিলেন বাড়ির আঙ্গীনায়। গত ৪ জুন রবিবার ছিল ওই বাড়িতে এক জেয়াফত অনুষ্ঠান। সেখানে সমবেত হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। দৃষ্টি আকর্ষণ করা ছোট গাছে ঝুলন্ত রঙিন আমসহ উন্নত জাতে বড় বড় আমের সঙ্গে গা মিশিয়ে অনেকেই সেলফি তুলেছেন।

বাড়ির কেয়ারটেকার বলেছেন এই বাড়ির চারি দিকে রয়েছে নানা জাতের ফলের গাছ। প্রায় প্রতিটি গাছে এখন ফল। ফলজ গাছে হাত দেওয়া নিষেধ করা আছে। এখানে মানুষ সৌন্দর্য উপভোগ করলেও কোনো গাছে কেউ হাত দেন না। অনেক গাছের পাকা ফল পাখি খাচ্ছে। ঝরে পড়া পাকা ফল সংসদ সদস্য বাড়িতে এলে বিলিয়ে দেন এলাকার মানুষের মাঝে।

জানা গেছে, ফজলে করিম চৌধুরী এমপি যখনই বাড়িতে আসেন প্রথমে তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেন গাছ গুলো। প্রতিটি গাছের পরিচর্যা করেন নিজের হাতে। রোগ বলাই দেখলে কৃষিবিদ ডেকে তিনি প্রতিষেধক দিতে রোগবলাই সারান। সংসদ সদস্য ফজলে করিম এমপি ২০১৭ সালে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশা মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এক ঘন্টায় প্রায় পাঁচ লাখ ফলদ চারা রোপন করেছিলেন।

রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রোপন করা এসব চারা গাছে ফুল হয়, ফল হয়। পাকা ফল খাচ্ছে পাখি। নিচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজন। তবে নিষেধ আছে অপরিপক্ষ ফল না ছেঁড়ার। এগুলো নজরদারি করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।